নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ অবনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এটিকে ইসরাইলের অপরাধের ‘ন্যূনতম শাস্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
এ হামলার কৌশলগত দিক বিশ্লেষণ করে আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অফ ওয়ার বলছে, এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে ছোড়া হয়েছে যেটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে। ইসরাইলি বাহিনী সবার আগে ঘনবসতি এলাকায় হামলা ঠেকাতে চেয়েছে এবং তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়ে।
এজন্য বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি যেগুলো তুলনামূলক কম ঘনবসতি এলাকায় সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসরাইল। তেল আবিবের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরের কাছেও আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।
তেহরান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুলাই মাসে তেহরানে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা এবং বৈরুতে হেজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হত্যার জবাব দিতে এ হামলা করেছে তারা।
আগে থেকেই ইসরাইল বা আমেরিকার জন্য একটা বড় মাথাব্যথার জায়গা ছিল ইরান। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি, অথবা সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্রশস্ত্রের পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততার কথা এসেছে বারবার।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল অনেক আগে থেকেই। আয়রন ডোমসহ শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ইরানের হামলা পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি ইসরাইল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান কীভাবে অস্ত্র পাচ্ছে বা তৈরি করছে?
ইরানের বর্তমান অস্ত্রের সক্ষমতার পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে সেটা জানতে একটু পেছন থেকে শুরু করতে হবে।
ইরানের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস আড়াই হাজার বছর পুরনো। তবে আধুনিক সেনাবাহিনী বা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার শুরুটা হয়েছিল রেজা খান বা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে যিনি ১৯২০ এর দশকে সেনাকমান্ডার থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ও রাজা হয়েছিলেন।
সামরিক বাহিনীর কমান্ডার হওয়ার পর তিনি আরতেশ বাহিনী গঠন করেন যেটিকে আধুনিক এক সশস্ত্র বাহিনীর সূচনা হিসেবে দেখা হয়। তিনি ইরানকে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি হাজারো অফিসারকে বিদেশে মিলিটারি একাডেমিতে পাঠিয়েছিলেন, পাশাপাশি নিজ দেশের বাহিনীকে বড় করতে থাকেন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পশ্চিমা অফিসারও নিয়োগ দেন (সূত্র: দা মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট)।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের দখল নেয়। নাৎসি জার্মানির সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরে রেজা শাহকে সরিয়ে রাজার আসনে আনা হয় তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে, যিনি শাসনকালের প্রায় পুরোটা সময় পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পশ্চিমাদের নজর ছিল ইরানের তেলের দিকে, সেই তেলের টাকায় ৬০ থেকে ৭০ দশকজুড়ে মূলত আমেরিকা থেকে বহু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়। ইরানের শেষ শাহ বা রাজা মোহাম্মদ রেজা পাহলভি দেশকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নিলেও জনবিচ্ছিন্নতা, একনায়কতন্ত্রএমন নানা প্রেক্ষাপটে বিপ্লবের সূচনা হয়। দাঙ্গা, ধর্মঘট আর বিক্ষোভের বাস্তবতায় দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শাহ ও তার পরিবারকে। তবে তার অস্ত্র কেনা, সামরিক প্রশিক্ষণ, এমন নানা পদক্ষেপের কারণে ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের সময় ইরানের বাহিনী ছিল সেঅঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর একটি।
ইরানের সামরিক শক্তির ইতিহাস ও সক্ষমতার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে আমেরিকার ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রতিবেদনে।
ইসলামি বিপ্লবের সঙ্গে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির প্রত্যাবর্তন বা উত্থানেও সমস্যা ছিল না, সমস্যা বাঁধে কয়েক মাসের মাথায় যখন তার অনুগত একদল শিক্ষার্থী তেহরানে মার্কিন দূতাবাসের দখল নিয়ে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করে। তাদের দাবি ছিল দেশান্তরী শাহকে বিচারের জন্য তেহরানে আনা। ৪৪৪ দিন স্থায়ী হওয়া এই সংকটের জেরে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান সেসময় অনেকটা একঘরে এবং সামরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেটাকেই ‘প্রথম অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ বলা যায় যার জেরে তখন পর্যন্ত বাকি থাকা অস্ত্রের সরবরাহ আর পায়নি ইরান। শাহ পাহলভির রেখে যাওয়া সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ড কর্পস বা বিপ্লবী বাহিনী গড়ে তোলা হয় আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে।
১৯৮০ সালে ইরানে ইরাক হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে পেশাদারিত্ব বাড়তে থাকে নব্য গঠিত বিপ্লবী গার্ডের। ১৯৮২ সালে সাদ্দাম হোসেনের বাহিনীকে হটিয়ে পাল্টা হামলা করে ইরান।
প্রথমদিকে আগেরকার মার্কিন অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করলেও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে এক পর্যায়ে জোড়াতালি দেওয়া শুরু করতে হয়, যেমন একটি ফাইটার এফ-ফোরটিনের যন্ত্রাংশ আরেকটায় লাগিয়ে এমনভাবে, বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি, যিনি সামরিক ও ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক এবং কানাডার রয়্যাল মিলিটারি কলেজের একজন এমিরেটাস অধ্যাপক।
ড. ইয়ারি বলেন, লিবিয়া থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি স্কাড মিসাইল ও যন্ত্রাংশ এনে, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে কীভাবে বানানো হয়েছে, সেটা দেখে নিজেরা বানানোর চেষ্টা করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিগ্যানও গোপনে কিছু অস্ত্র বিক্রি করে যা কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল নামে পরিচিত। ইসরাইল কিছু অস্ত্র পায়, উত্তর কোরিয়া থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নেয়। ধীরে ধীরে এগুলোর সাথে নানা গবেষণা চালিয়ে প্রয়োজন মেটাতে থাকে এবং তারা অবৈধভাবে বাইরে থেকে অস্ত্র আনার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ঢুকে যায়।
১৯৮৮ সালে যথেষ্ট সমর্থন এবং রসদের অভাবে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হলেও যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে ইরানের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা নীতিতে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি, সব মিলিয়ে পরবর্তী দশকগুলোতে স্বনির্ভরতা ও যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ হয় ইরান।
বিপ্লব এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে বলে উল্লেখ করেন বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পারহাম ঘোবাদিও। বিশেষত ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলের বিষয়ে বেশি জোর দেয়া হয় এবং এজন্য ‘উত্তর কোরিয়ান, চীনা এবং রাশিয়ানদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে এবং নিজেরাই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে থাকে,’ বলছিলেন ঘোবাদি।
৯০-এর দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শিয়া গোষ্ঠী আর বিভিন্ন দিকে সম্ভাব্য মিত্রদের সাথে নেটওয়ার্ক শক্ত করতে থাকে ইরান। চার দশকের বেশি সময় ধরে বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসে দেশটির উপর। শুধুমাত্র জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান সংশ্লিষ্ট ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা।
ইসরাইলের এবারকার হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যেটি অনেক কম সময়ে আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন এগুলো ঠেকানো কিছুটা কঠিন কারণ এর গতি।
এপ্রিল মাসে ইসরাইলে ইরান যে হামলা করেছিল সে তুলনায় এটি একটি বড় পার্থক্যের জায়গা বলে উল্লেখ করেন ঘোবাদি। আগেকার হামলায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনের মতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
যেখানে ড্রোন ইসরাইলে পৌঁছাতে ৬-৭ ঘণ্টা সময় নেয় সে তুলনায় এবারকার হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করেছে ইরান যেটা ইসরাইল পৌঁছাতে গড়পড়তা দশ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন পারহাম ঘোবাদি। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের মতো দূরত্ব এত কম সময়ে পাড়ি দেয়ায় আগের তুলনায় বেশি আঘাত হানতে পেরেছে মনে করেন তিনি।
শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে দেখলেও ইরানের স্বল্প ও দূরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের মিসাইল রয়েছে। যেমন শাহাব-৩ দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম, অর্থাৎ ইসরাইল পার করে মিশর, অন্যদিকে ইউরোপ, রাশিয়া, ভারত বা চীন পর্যন্তও যেতে পারে সে ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরানের অস্ত্র সরঞ্জামের বড় যোগানদাতা রাশিয়া হলেও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই নিজেদের তৈরি ড্রোন দিয়েছে ইরান।
অনেকে বলেন ইরান যদি একবার কিছু একটা দেখার সুযোগ পায় এবং মনে করে তাদের জন্য এটা ভালো হতে পারে তাহলে সেটা তারা বানিয়ে ফেলতে পারে। “কয়েক বছর আগে আমেরিকার ড্রোন ভূপাতিত করার পর তারা ড্রোন বানাতে থাকে এবং এখন ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি তাদের প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ড্রোন।
তবে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ মাধ্যম আইএসএনএ’র এপ্রিল মাসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আরও বেশ কিছু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য উল্লেখ করেছ। যেমন: হাজ কাসেম – ১৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে, খেইবার – ২০০০ কিলোমিটার এবং সেজিল – ২৫০০ কিলোমিটার, যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম।
মধ্যপ্রাচ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা ইরানের সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। বহু ধরনের মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের বহর ছাড়াও অনেক ধরনের অস্ত্রসম্ভার রয়েছে ইরানের।
সেনাবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের বন্দুক, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান, রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্র। নৌবাহিনীর রয়েছে অনেক ধরনের ছোট-বড় রণতরী, নেভাল মাইন বা বিস্ফোরক, ডুবোজাহাজ, হেলিকপ্টারবাহী তরী এবং টহল জাহাজ।
বিমান বাহিনীর আছে হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও বহু ধরনের ড্রোন। সাইবার শক্তিও যথেষ্ট উন্নত করেছে ইরান। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ করার দিক তো ছিলই, যেটা নিয়ে সম্প্রতি জো বাইডেনও জানিয়েছেন ইরানে কোনও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুয়ায়ী সামরিক সক্ষমতায় ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪-তম যা ইসরাইলের (১৭-তম) চেয়েও এগিয়ে। তাদের হিসেবে ইরানের ৫৫১টি সামরিক বিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার, ৬৫,৭৬৫টি সাঁজোয়া যান, ১,৯৯৬টি ট্যাংক, ১০১টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৯টি ডুবোজাহাজ রয়েছে।
তবে ইরানের অস্ত্র নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সেখানেও পাওয়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ সেখানে ইরানের নৌবাহিনীতে কোনও আকাশযান বা হেলিকপ্টার বহন করার সক্ষমতা নেই বলা হয়, যদিও ২০২১ সালে ইরানের সামরিক মহড়ার প্রকাশিত ছবিতে মাকরান নামে একটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ দেখা যায়।
তবে প্রশ্ন আসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে এই সক্ষমতা তৈরি করলো। ‘নিজস্ব অস্ত্র সমৃদ্ধ করতে ইরান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে যন্ত্রাংশ চোরাচালান করে নিয়ে আসে। এছাড়া রাশিয়া তো আছেই, চীন ও উত্তর কোরিয়ার উপরেও কিছুটা নির্ভর করে তারা, বলছিলেন ড. হুশ্যাং হাসান ইয়ারি।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী শুধু ২০২৩ সালেই ইরান ১০.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক হাজার কোটি ডলারের বেশি অস্ত্রের পেছনে খরচ করেছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হিসেবে বছরে ৯৯৫ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয় সামরিক খাতে।
তবে ড. ইয়ারির মতে, পশ্চিমাদের তুলনায় ইরানের অস্ত্র অতটা নিখুঁত না হওয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বাড়িয়েছে যেটা সাম্প্রতিক হামলাগুলো থেকেও লক্ষ্য করা যায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি করতে কাজ করার মতো ইরানের বেশ কিছু স্কলার রয়েছেন যারা ন্যানোটেকনোলজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর মতো গবেষণা ও কাজ করেন, বলছিলেন ড. রাজিয়া সুলতানা যিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, লেবাননের হেজবুল্লাহ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী লেখা রয়েছে তার। ইরান বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিও করে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)