বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

পাহাড়ে আতঙ্ক : টেকনাফে এক বছরে অপহরণের শিকার দেড় শতাধিক মানুষ

কক্সবাজারের টেকনাফে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে অপহরণ বাণিজ্য। চরম আতঙ্কে রয়েছেন কৃষক, শ্রমিক সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ বন বিভাগের সদস্যরাও। ডাকাতদল টার্গেট করে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রের মুখে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতে গেলো এক বছরে দেড় শতাধিক ব্যক্তি পাহাড়ি সশস্ত্র ডাকাতদলের হাতে অপহরণের শিকার হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেলো বছরে টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কৃষক, শ্রমিক, কাঠুরিয়া, বনকর্মী, সিএনজি অটোরিকশা ও টমটম চালক, শিক্ষার্থী, পথচারী, দোকানদার ও মাছ ব্যবসায়ীসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি অপহরণের কবলে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকে মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে বাড়িতে ফিরে আসেন।

অপহরণের পর মুক্তিপণ দিতে না পেরে খুনের শিকার হয়েছেন তিন বন্ধু। এমন ঘটনায় চরম আতঙ্কে আছে মানুষ। পাহাড়ি ডাকাতদল নির্মূল করতে পাহাড়ে যৌথবাহিনী ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার দাবি উঠেছে।

জাদিমুড়ার বনকর্মী জুহুর আলম বলেন, বিগত ৫ বছর বন বিভাগের কাজ করছি। আগের তুলনায় ইদানীং পাহাড়ে অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তিনদিন আগে আমার ছেলেসহ ১৯ জন শ্রমিককে সশস্ত্র ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় তারা একদিন পর বাড়ি ফিরতে পেরেছে। পাহাড়ে কাজে গেলে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

বাহারছড়ার ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও ক্ষেত-খামারসহ কাঠুরিয়া ও পানের বরজে কাজ করে। গরু চরাতে পাহাড়ের কিনারায় যায়। এই মানুষগুলো এখন অপহরণ আতঙ্কে ঠিকমতো তাদের নিত্যদিনের কাজও করতে পারছে না। এমনকি গত ৩০ ডিসেম্বর বাহারছড়ার বড় ডেইল থেকে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পাহাড়ি সশস্ত্র ডাকাতদল তুলে নিয়ে যায়। এর আগে তার ভাই মনিরুল উল্লাহকেও পুলিশের পোশাক পরে বাড়ি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ডাকাতদল। ডাকাতদলের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রকাশ্যে কেউ কথা বলার সাহস করে না। যদি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় এবং রাতে ধরে নিয়ে যায়।

টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী বলেন, অপহরণ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে পাহাড়সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান দরকার। অপহরণকারীদের আটক করে তাদের সঙ্গে কারা জড়িত এদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণের ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও স্থানীয় একাধিক ডাকাতকে আমরা আটক করেছি। এগুলো বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, অপহরণের ঘটনাগুলো কোন কোন পয়েন্টে হয় সেটি নির্ধারণ করে সেখানে নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে বিষয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে অভিযোগ থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের যেকোনো অভিযোগেরবিস্তারিত পড়ুন

গুমের একেকটি ঘটনা ভয়াবহ, গা শিউরে ওঠার মতো: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুমবিস্তারিত পড়ুন

এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে ব্যবস্থা: উপ-প্রেস সচিব

এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানবিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ মুজিব, তাজউদ্দিনসহ যুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের খবর ভুয়া: উপদেষ্টা ফারুকী
  • জনতার হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর
  • মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের ভুয়া খবরে বিভ্রান্তি
  • শেখ মুজিবসহ জাতীয় ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয় : ফারুক-ই-আজম
  • অনুপ্রবেশ করায় জনতার হাতে ধরা বিএসএফ সদস্য, নেপথ্যে যে ঘটনা
  • সাতক্ষীরায় ট্রেন লাইন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
  • ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে, ঘটনাটি চাঁদপুরের শাহরাস্তি : উপদেষ্টা আসিফ
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘বড় সুখবর’
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সরকারের প্রধান অঙ্গীকার: বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা
  • জাতীয় বাজেট ঘোষণা
  • দাম কমতে পারে যেসব পণ্য-সেবার