নাহিদকে নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অবাক করা পোস্ট ভাইরাল


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্যসাবেক উপদেষ্টা ও নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম পদত্যাগের পর পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক অর্ক দেব বলেছেন, ‘আমরা সবাই নতুন বাসা খুঁজছি।’
অর্ক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে নাহিদের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে এ কথা লিখেন।
নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম।
গত মঙ্গলবার তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, ‘রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা’।
মঙ্গলবার দুপুরে নাহিদের পদত্যাগের পর তাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি ছবিযুক্ত পোস্ট দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক অর্ক দেব। তার ফেসবুক পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
অর্ক দেবের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এই ছবিটা যখন উঠছে তখন ঘড়ির কাটায় বাংলাদেশ সময় রাত একটা দশ। তার আগে দেড় ঘণ্টা কথা হয়েছে আমাদের নানা বিষয়ে। নাহিদ ধীর স্থির, বক্তব্যে অবিচল। তর্কে নিরুত্তাপ। কথার মাঝে আমার চোখে ভেসে ওঠে নাহিদের রক্ত জমাট বাঁধা হাত-পায়ের ছবি। বাইশে জুলাইয়ের সেই প্রতিবেদন, যেখানে জানা যায় তুলে নিয়ে গিয়ে অ ত্যা চা র করার পর চোখ-হাত-পা বেঁ ধে রাস্তায় ওকে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনা যারা ভুলে যেতে চায় আমি তাদের সন্দেহ করি।
নাহিদ সেদিন মরেনি, বেঁচে গেছে, বরাতজোরেই। নাহিদের বন্ধুরা, চেনামুখ কত মরেছে। নাহিদ উঠে দাঁড়িয়েছে। মারের ব্যবস্থাপক পালিয়েছে। নাহিদরা সরকার গড়েছে, ঠিক করেছে, ভুল করেছে। কিন্তু চেষ্টা করেছে। আমার উপলব্ধি, নাহিদ-মাহফুজরা জানে ওরা কোনো রাজনীতি করতে চায়। ওদের আত্মপ্রশ্ন আছে। নিজেকে জানার অহংও আছে। পুরনো ছকের ভাবনায় ওদের এই বোঝাপড়াকে পড়া যাবে না। আজ সেই রাজনীতি, সেই ডিসকোর্স একটা অবয়ব চাইছে, নাহিদ তাই বেইলি রোডের বাংলো, কনভয় ছেড়ে, আজ থেকে আবার রাস্তায়। যে রাস্তায় ওঁকে চোখ বেঁধে ফেলে রেখে গেছিল র্যাব।
নাহিদ, এই যে বিরুদ্ধবাদীর চোখ বেঁধে ফেলা, আসলে এর উলটোপথে হাঁটা শুরু আজ থেকে। মনে পড়ছে আপনার কালশিটে। মনে পড়ছে ব্যাডমিন্টন কোর্টে দাঁড়িয়ে আপনার স্বগতোক্তি, ভাই নতুন একটা বাসা খুঁজতে হবে। আমরা সবাই নতুন বাসা খুঁজছি, যে বাসা সবার, পক্ষের-বিপক্ষের-প্রান্তিকের, বিশ্বজুড়ে যাদের গায়ে মনে কালশিটে আজও, তাদের সবার।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
