১২৫ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জাপানের জন্মহার


জাপানে জনসংখ্যা সংকট আরও গভীর হচ্ছে এবং সরকারের জন্মহার বাড়ানোর বিভিন্ন প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। প্রাথমিক সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপানে গত বছর নবজাতকের জন্মহার ১২৫ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। ২০২৪ সালে জাপানে ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮ শিশুর জন্ম হয়েছে।
বলা হয়েছে, আর্থিক ও অন্যান্য সরকারি প্রণোদনা সত্ত্বেও, বিবাহিত দম্পতিদের অধিক সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করার উদ্যোগগুলো তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না। ২০২৪ সালের জন্মহার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম এবং এটি ১৮৯৯ সালে মেইজি যুগে জাপানে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে সর্বনিম্ন।
গত বছরে দেশটিতে রেকর্ড ১.৬ মিলিয়ন মৃত্যুর পাশাপাশি এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, জাপানের জনসংখ্যা প্রায় ৯ লাখ কমেছে। তবে, পরিসংখ্যানে অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে বলেছিলেন, দেশের জনসংখ্যার পতন ও বয়স্ক জনসংখ্যার কারণে জাপান ‘একটি সমাজ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে কি না’ এমন এক সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
জাপানের জনসংখ্যা ক্রমশ বিপরীতমুখী হয়ে পড়ছে, যেখানে তরুণদের সংখ্যা দ্রুত কমছে এবং তাদের ওপর দেশের বিশাল সরকারি ঋণের বোঝা এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খরচের দায়িত্ব রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে।
সরকারি সংস্থাগুলো জনসংখ্যার পতন আটকাতে আরও চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ রয়েছে, যেখানে কর্মচারীদের সপ্তাহে চারদিন কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
