পৌর মেয়রের প্রশংনীয় উদ্যোগ, খোঁজাখালি খালের কচুরিপানা অপসারণ শুরু


যশোরের কেশবপুরে হরিহর নদের শাখা খোঁজাখালি খাল থেকে অবশেষে কচুরিপানা অপসারণ শুরু হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার উদ্যোগে গত শনিবার থেকে শহরের শ্রীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন হরিহর নদের শাখা খোঁজাখালি খালের উৎপত্তি স্থল থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। কেশবপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হরিহর নদ ও তার শাখা খোঁজাখালি খাল কচুরিপানায় ভরে থাকার খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি পৌর মেয়রের দৃষ্টিতে আসে।
খোঁজাখালি খালটি কেশবপুর প্রেসক্লাবের পিছন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সদর ইউনিয়নের বিল বলধালিতে গিয়ে মিশেছে। কচুরিপানায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্থ হয়ে বিল এলাকায় জলবদ্ধতা দেখা দেয়। পৌর সভার উদ্যোগে খালটির উৎপত্তি স্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেটে দেওয়া বাঁধ আরও গভীরসহ কচুরিপানা অপসারণ কাজ শুরু হয়। উপজেলার হাবাসপোল এলাকা থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজে আসা অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালটিতে কচুরিপানা ভরে থাকায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হয়ে বিল বলধালি এলাকার মধ্যকুল, হাবাসপোল, ভবানীপুর, মূলগ্রাম ও পাশ্ববর্তী মণিরামপুরের হাসাডাঙ্গা, গৌরিপুর ও আটঘরা অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ হয়। বিষয়টি কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম গুরুত্বের সাথে নিয়ে গত শনিবার সকাল থেকেই বাঁধটি গভীরসহ কচুরিপানা অপসারণে এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ব করেন। গত বৃহ¯পতি ও শুক্রবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হলে খবরটি পৌর মেয়রের দৃষ্টিতে আসে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, খোঁজাখালি খালের কচুরিপানা অপসারণ শুরু করা হয়েছে। খালটির মুখ কেটে দেওয়া বাঁধটিও আরও গভীর করে কাটা হচ্ছে। স্রোতের গতি বেড়ে কচুরিপানা নেমে গেলে খালটির সৌন্দর্য ফিরে আসাসহ বিল এলাকায় জলবদ্ধতা নিরসন হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
