সাতক্ষীরায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুর দোকান ভাংচুর, আহত-৩
সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘুর দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করে নগদ অর্থ লুট ও মালামাল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৩জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ফিংড়ি দাশ পাড়া পূজা মন্ডপ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হন রমেশ দাশ ও উৎপাল দাশ নামের দুই ভাই এবং তাদের বাবা সত্যচরণ দাশ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমেশ দাশ জানান, গত ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ১৪নং ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ফুটবল প্রতীকে প্রতিদ্ব›দ্বীতাকারী ইউপি সদস্য প্রার্থী খান আবদুল হামিদের সমর্থক হিসেবে কাজ করেন এতে ক্ষিপ্ত হন আরেক সদস্য প্রার্থী মনিরুল সানার সমর্থক দক্ষিণ ফিংড়ি দাশপাড়া এলাকার মৃত ভ‚ধর দাশের ছেলে নির্মল দাশ ননী।
নির্বাচনকালীন সেই ক্ষোভ থেকে গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দক্ষিণ ফিংড়ি দাশপাড়া পূজামণ্ডপ সংলগ্ন ভ্রাম্যমাণ মিষ্টি ও ভাজার দোকানে এসে নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষকে সমর্থন করার কথা উল্লেখ করে গোলোযোগ শুরু করে। গোলোযোগের এক পর্যায়ে রমেশ দাশের বাবা সত্যচরণ দাশকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় নির্মল দাশ। পরে ফোন করে তার বোনের দুই ছেলে ঠাকুর দাশ ও নয়ন দাশসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০জনকে ডেকে তাদেরকে সাথে নিয়ে রমেশ দাসের দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ১৩হাজার টাকা লুট এবং দোকানের প্রায় ৩৫হাজার টাকার মালামাল নষ্ট করে নির্মল বাহিনী। তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা রমেশ দাশকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তার গলা, মুখ ও পায়ে রক্তাক্ত জখমসহ শীররের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার ছোট ভাই উৎপল দাশকেও মারধোর করে নির্মল দাশ গংরা।
এ হামলার পর আহত অবস্থায় রমেশ দাশ ও উৎপল দাশকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
হামলার প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত নয়ন দাশের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ০৫নং ওয়ার্ডের সদস্য খান আবদুল হামিদ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনে আমাকে সমর্থন করাকে কেন্দ্র নির্মল দাশ ননী রমেশ দাশের দোকান ভাংচুর করেছে। আমি ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)