সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে মুশতারী শফীর মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

চট্টগ্রামের শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরের এনায়েত বাজারের বাসা থেকে তার মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি চৌকস টিম। এরপর থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে বরেণ্য এই নারীর মরদেহ নেওয়া হবে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে। সেখানে জানাজার নামাজ শেষে এনায়েত বাজার চৈতন্য গলি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম মুশতারী শফী। ৮৩ বছর বয়সী এই নারী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগও ছিল তার। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে গেছেন।

মুশতারী শফী ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলায়। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার স্বামী মোহাম্মদ শফী এবং ছোট ভাই এহসানকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। তার পরিবার একাত্তরে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি ওই বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতিসহ বিভিন্ন নিয়ে তিনি একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এছাড়া ষাটের দশক থেকে তিনি নারী আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন জোরদার হলে তিনি নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠনে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি তিনি এতে নেতৃত্বও দেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রয়াণের পর দেশজুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের মূল নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি।

বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘসময় ধরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। একযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার বেগম মুশতারী শফী দেশে প্রগতিশীল চেতনার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ২০১৬ সালে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করা হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখাবিস্তারিত পড়ুন

এবার তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ICT কোচিং সেন্টার রোববারবিস্তারিত পড়ুন

৭১এ গণহ.ত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত
  • খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজার বাসায় পাক উপ-প্রধানমন্ত্রী
  • অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার
  • বাসায় গিয়ে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ১৫ বছর যাদের জন্য লড়াই করলাম, তারাই এখন ধাক্কা দেয় : রুমিন
  • বেনাপোল বন্দরে প্রথম চালানে ৩১৫ টন চাল আমদানি
  • কেন্দ্র-বাক্স দখল, অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল : সিইসি
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেয়া দরকার সেভাবে নিচ্ছি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতির কারণে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে’ : প্রেস সচিব
  • সিন্ডিকেট রুখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • বিচার চলাকালে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : সিইসি
  • ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা মে-জুনে, হবে পূর্ণ সিলেবাস-নম্বরে