ইসি নিয়োগ বিল সংসদে উত্থাপন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সম্পর্কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণ সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে তিনি এটি উত্থাপন করেন।
এর আগে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সংসদ ভবনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল পাসে সরকারের কোনো তড়িঘড়ি নেই বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিলের কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনার কথাও জানান তিনি।
ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, অতীতের কমিশন গঠনের বৈধতা দিতেই এই আইন।
গত রোববার সংসদে প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। রীতি অনুযায়ী সেই বিলটি স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণের টেবিলে রাখা হয়।
বিল উত্থাপনের পর বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের আগেই সংসদে বৈঠক করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। দুপুর ১২টায় এ বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, শামীম হায়দায় পাটোয়ারীসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি জানান, এ বিল পাস করার জন্য সরকারের কোনো তাড়াহুড়ো নেই। বলেন, যখনই আইনটি ক্যাবিনেটে পাস হয়েছে তাৎক্ষণিক ল’ লেজিসলেটিভ বিভাগের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। আর এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আমি তো বুঝলাম না এখানে গোপনীয়তা কী, আর আমরা এত বোকা না, এই আইনটা গোপন করে আমাদের কী লাভ।
বিশেষ পর্যবেক্ষণে আইনটির কিছু ধারায় পরিবর্তন আসছে বলে ইঙ্গিত দিলেও সেই ধারা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি আনিসুল হক। বলেন, কিছু পরিবর্তন আসছে যেটা এখন বলব না। তার কারণ হচ্ছে এটা জানার সবচেয়ে আগে অধিকার আছে সংসদ সদস্যদের। যখন আমি এটা হাউসে উত্থাপন করব তখন সেইটা কী সংশোধন হবে সেখানেই সাব্যস্ত হবে।
এদিকে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার মতে, অতীতে কমিশন গঠনের বৈধতা দিতেই এ আইনটি করা হচ্ছে। বলেন, এখানে আসলে স্বাধীনতা থাকে না সার্চ কমিটির। সেই জায়গাটিতে আমি আলোকপাত করেছি, বলেছি যে বিধি ৭ ও ৯ এর ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আজকে একটা কথা এসেছে আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয় না, আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয়।
তবে, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির মতে, সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায় নিয়োজিত ধারাটি যোগ হতে পারে।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আমরা যোগ্যতা ও অযোগত্যার জায়গায় কিছু পরিবর্তন এনেছি। সেভাবেই সংসদে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
সংসদ সূত্র মতে, স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে অধিবেশন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এরপরই সেটি পাস করার আবেদন জানানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)