একই সাথে এক বধূর দুই স্বামী!
ঢাকার ধামরাইয়ে ঘরের মধ্যে দুই তরুণসহ এক তরুণীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। তারা দুইজনই ওই তরুণীর স্বামী বলে জানা গেছে। প্রকৃতির ডাকের কথা বলে দ্বিতীয় স্বামী উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রথম স্বামী দাবীকারী ও ওই তরুণীকে স্থানীয়দের সহায়তায় জিজ্ঞেসবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় সাখাওয়াত হোসেন ছাকার বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেন ছাকার মেয়ে (২৩) গোপনে দুই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। একইসঙ্গে তারা একই ঘরে রাতযাপন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী দুই স্বামীসহ ওই তরুণীকে ঘরে আটক করেন।
তবে টাঙ্গাইল জেলার রনি মিয়া প্রায় ৩ বছর আগে বিয়ে করেন ওই তরুণীকে।
অপরদিকে, ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া এলাকার রেজাউল করিম রাজা ওই তরুণীকে বিয়ে করেন মাস দেড়েক আগে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজনের সামনে থেকে মো. আব্দুল হামিদের ছেলে হোটেল ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রাজা পালিয়ে যায়। অপর স্বামী টাঙ্গাইলের রনি মিয়া ও ওই তরুণীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে জানা গেছে।
কিন্তু রাতেই গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লাসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রাতেই তাদের থানা থেকে বের করে নিয়ে যান।
প্রথম স্বামীর সত্যতা থাকায় তার সাথে তরুণীকে ছেড়ে দেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী রেজাউল করিম রাজা মিয়ার বিষয়টি গোপনেই রয়ে গেল। তিনিও ওই তরুণীকে বিয়ে করেছেন এবং মাস দেড়েক ওই তরুণীর সাথে সংসারও করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ধামরাই থানার এসআই মো. মফিজুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী আটকের পর এক তরুণ ও এক তরুণীকে পুলিশের কাছ সোপর্দ করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। পরে তাদের বিবাহের বিষয়টির সত্যতা পাওয়ার পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)