কলারোয়ায় লকডাউনে তৎপর জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ, পৌর সভা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ কঠোর অবস্থানে থেকে চতুর্থ সপ্তাহ লকডাউনের ১ম দিন অতিবাহিত করেছেন।
লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসন ছিলো তৎপর।
শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন ও টহলে ছিলো।
উপজেলা ব্যাপি কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে পৃথক সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান, ‘গ্রামসহ মহল্লার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বে-সরকারী অর্থলগ্নীকারী সংস্থা (এনজিও)’র কাছ থেকে ঋণ গ্রহন করে থ্রি-হুইলার, ট্রলি, ইন্জিন চালিত ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে নিন্মবিত্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয়ের পথ বন্ধ থাকায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এরপরেও এনজিও সংস্থার কিস্তির টাকা আদায়ে এ সকল গরীব মানুষের জীবনে হয়েছে ’মরার উপর খাঁড়ার ঘা!’
তিনি এনজিও সংস্থাগুলি যাতে এই লকডাউনের সংকটময় মুহুর্তে কর্মহীন মানুষের কাছ থেকে কিস্তি আদায়ে বিরত থাকেন সেজন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ দিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী কোভিড-১৯’ প্রতিরোধে সকলকে আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় আপনাদের ঘরে রাখতে আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকাল বাইরে আছি-থাকবো।’
তিনি সকলকে আরও সচেতন হওয়ার জন্য মনে করিয়ে দেন- ‘সময়ের এক ফোঁড়- অসময়ের দশ ফোঁড়।’
তিনি আরও জানান, ‘ইতোমধ্যে জেলা ব্যাপি করোনা সংক্রমন উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে করোনা চিকিৎসার জন্য কোন বেড খালি নাই।’
এ জন্য সকলকে মাস্ক পরিধান, দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন (জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি)’র নির্দেশনায় করোনা সংক্রমন (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা) মোকাবেলায় চতুর্থ সপ্তাহের লকডাউনের ১ম দিন শনিবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত পৌর বাজারে কেবল মাত্র মুদি দোকান, মাছ ও সবজি বাজার খোলা থাকতে দেখা গেছে। তবে প্রধান সড়কসহ একাধিক রাস্তায় অল্প সংখ্যক ইজিবাইক, মটরসাইকেল, ট্রলি, নসিমন, ইনজিন ভ্যানসহ মিনি পরিবহন চললেও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন পথচারীকে রাস্তায় দেখা যায়নি।
এদিকে, চলতি পথচারীদের মধ্যে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অপরাধে তিরস্কারসহ জরিমানা করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)