কলারোয়ায় সখের বশে কবুতর পালনে সাফল্য পেয়েছেন কামরুল
হাঁস-মুরগি ছাগল কিংবা গবাদি পশু পালন করে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের কথা অনেক শোনা যায়। তবে কবুতর পালন করে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জন খুব একটা শোনা না গেলেও কলারোয়ার ধানদিয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম এই সাফল্য অর্জন করে দেখিয়েছেন।
কমরুল ইসলামকে এলাকায় কবুতরপ্রেমী নামেও বেশ পরিচিত। তার এ কবুতর পালনের সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো বেশ কিছু কবুতরের খামার গড়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবুতর খামারটির সুন্দর পরিবেশ। আলাদা আলাদা খাঁচায় বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের রং-বেরঙের কবুতরগুলোকে খাবার সরবরাহে ব্যস্ত রয়েছেন কামরুল ইসলাম। দেশি-বিদেশি কবুতরের মধ্যে- সিরাজি, কালদম, গৃবাজ, ময়ুরপঙ্খি, বুনো ইত্যাদি জাতের, নানা রঙের বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে কামরুল ইসলামের এই খামারটিতে।
কামরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘ছেলেবেলা থেকে তার কবুতর পালনের সখ আর সেই স্বপ্ন থেকেই ২০০০ সালে মাত্র ৩ জোড়া কবুতর দিয়ে তার এই যাত্রা শুরু। তবে প্রথমে শুধু মাত্র শখের বশেই কবুতর পালন শুরু করেছে বলে জানান। সেই শখ এখন লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। প্রতি জোড়া কবুতর প্রতি মাসে দু-এক জোড়া বাচ্চা দেয়।’
‘শুধু তাই নয়, কবুতরের খাবার, ঔষুধ এবং অন্য খরচসহ খামারটির পিছনে প্রতি মাসে ব্যয় প্রায় ৪/৫ হাজার টাকা। আর প্রতি বছরে কবুতর বিক্রি হয় ৮০ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা। খাবারের মধ্যে- গম, ভুট্টা, কলাই, মুসুরি,ধান,সরিষা, মাসকলাই উল্লেখযোগ্য। তবে তার স্ত্রী/কন্যা এই কবুতর পালনে সহযোগিতা করে থাকেন’- বলেন তিনি।
কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘কবুতরের পাশাপাশি তিনি হাঁস, মুরগী ও পালন করেন। তার ৭৫টি রাজহাঁসের বাচ্চা ও ৫০টি দেশি মুরগী ও বাচ্চা রয়েছে।’
ছবিতে
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)