আরো খবর...
কেশবপুরের দুই কৃতি সন্তান ডিজিটালাইজ করলো যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি
নির্মিত হলো ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলা আইনজীবী সমতির কম্পিউটার অটোমেশন সিস্টেম। যশোর কেশবপুরের দুই কৃতি সন্তান (প্রকৌশলী) রিংকু ও উত্তম কুমার ডিজিটালাইজ করল যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি। তাদের সাফল্যের কথা শুনে এলাকাবাসীসহ কেশবপুরবাসী আনন্দিত।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের অজেত মোড়লের ছেলে রিংকু মোড়ল, পরিতোষ কুমার করএর ছেলে উত্তম কুমার কর। তারা দুই জনই তথ্য প্রযুক্তি প্রকৌশলী। সফটওয়ারটির তৈরিতে সম্পূর্ন পরিকল্পনা ও কোয়ার্ডিনেশনের দায়িত্ব পালন করেন রিংকু মোড়ল এবং প্রধান সফটওয়ার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উত্তম কুমার কর। তাদের প্রচেষ্টায় নির্মিত হলো ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলা আইনজীবী সমতির কম্পিউটার আটোমেশন সিস্টেম। রিংকু মোড়ল স্কুল জিবন পাথরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর কলেজ তারপর মাওলনা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিএস সি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। তিনি সম্পূর্ন স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে এই উৎদ্বাবনী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বর্তমানে তিনি জনতা ব্যাংক লিমিটেড, এরিয়া অফিস, যশোরে প্রিন্সিপাল অফিসার-আইটি পদে কর্মরত আছেন। উত্তম কুমার কর স্কুল জিবন পাথরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চুকনগর কলেজ তারপর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ও কমিনিকিউশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএস সি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। তাদের সাফল্যের কথা শুনে এলাকাবাসীসহ কেশবপুরবাসী আনন্দিত।
রিংকু মোড়ল বলেন, সরকারের ডিজিটালাইজেশন ও ইনোভেশন স্লোগানে উৎসাহিত হয়ে এই, সফটওয়্যার তৈরির পরিকল্পনায় অংশগ্রহন করি। এই সফটওয়ার যশোর আইনজীবী সমিতি তথা বাংলাদেশের সকল আইনজীবী সমিতি অটোমেশনে অনন্য ভুমিকা পালন করবে। উত্তম কুমার কর বলেন, আমারা দুই বন্ধু রিংকু মোড়ল ফোনে এক দিন আমাকে জানান যশোর আইনজীবী সমিতি তাদের দৈনন্দিন কাজের হিসাব নিকাশ করার জন্য একটা ছোট সফটওয়ার টুলস তৈরি করতে চায়। আমি তার কথায় রাজি হয়ে যাই। কিন্তু কাজ শুরু করার আগে তাদের যে চাহিদা ছিলো তা কিছুদিন যেতেই পরিবর্তন করে অনেক কিছু সংযোজন করে বড় পরিসরে করতে হবে বলে জানায়। শুনে অমি একটু হতাশ হয়ে পড়ি যেহেতু ইতো মধ্যে কাজটা আনেক দুর এগিয়ে গিয়েছে এই পর্যায়ে এসে এরকম সংযোজন সত্যিকার অর্থে খুব কঠিন। তারপরও কাজটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহন করি এবং দীর্ঘ ৬ (ছয়)মাস পর আমরা সফলতার সাথে সম্পন্ন করি।
যশোর বার এর সদস্য এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, সফটওয়্যারটা আমি নিজে ব্যবহার করছি এবং আমাদের আইনজীবী সমিতির কাজগুলো অনেক সহজ ও সচ্ছতার সাথে সম্পূর্ন করতে সহযোগীতা করছে। এবং সমিতির সকল ট্রানজেকশান এর বিপরীতে সাথে সাথে মোবাইলে এস এম এস এর মাধ্যমে গ্রাহককে নিশ্চিত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সফটওয়ার টিকে মোবাইল এপসের আওতায় আইনজীবীদের সেবা প্রদানের ইচ্ছা আছে।
পিচের রাস্তা নির্মানের দাবি
যশোরের কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোণা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আসাদ মেম্বারের মোড় থেকে সারুটিয়া রফিক শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় পিচ করনের জোর দাবি এলাকাবাসীর।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে বাই সাইকেল মোটর সাইকেল ভ্যান গাড়ি যানবাহন কিংবা হেঁটে চলাচল বিপজ্জনক। পার্শবর্তি সব রাস্তা পাকা হলেও জরাজীর্ন রাস্তাটি হয়নি পাকা। রাজনৈতিক নেতারা ভোটের সময় রাস্তাটি পিচ করার প্রতিস্্রুতি দিলেও গ্রাম্য কথাটি রয়েগেছে লোকমুখে ভোটের পরে ফস করে না। এ রাস্তার শুরুতেই রয়েছে একটি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে পড়তে আসা কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা বর্ষাকালে পা পিছলে পড়ে কাঁদতে থাকে। পরদিন আসতে চায়না পাঠশালায়। ঝরেপড়ে পাঠশালার শিক্ষার্থী ব্যাহত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। ধরে রাখা যায়না শিক্ষার্থী। এলাকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি পাকাকরন হলে এ এলাকার মানুষের কষ্ট দূর হবে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের এবং এলাকার মানুষের চলাচলের সুভিধার্থে রাস্তাটি পাকা করার দাবী এলাকাবাসীর। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অপরিকল্পিত মাছের ঘের: গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, আমন আবাদ ব্যাহত
:
যশোরের কেশবপুরের পল্লীতে এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি আটকে রেখে মাছেরঘের নির্মান করে মাছ চাষ করছেন। পানি নিষ্কাষনের পথ বন্ধ থাকায় পাশের ৪টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশাঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে করনে উপজেলা হাসানপুর ইউনিয়নের খেজুরকান্দি বিল সহ বুড়িহাটি বারুইহাটী ঝিকরা পাত্রপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের বিলে আমন আবাদ ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়ে রোববার ইউপি সদস্য মজিবর রহমান সহ ভুক্তভোগী শতাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পাত্রপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন সরকারি চাকরির পাশাপাশি ঘেরের ব্যবসা করছেন। তিনি উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামের ওদ্দের বিলে পানি নিষ্কাশনের ৩ টি কালভার্ট বন্ধ করে মাছের ঘের নির্মান করেছেন। যে কারনে পার্শবর্তী বুড়িহাটি বারুইহাটী ঝিকরা পাত্রপাড়াসহ খেজুর কান্দির বিলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ওই সমস্ত বিলে কৃষকরা আমন ধান আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মজিবর রহমানসহ প্রায় শতাধিক জমির মালিক কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্বে) ইরুফা সুলতানা বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
যশোরের কেশবপুরের কোমরপোল গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায় একশো বছরের চালাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের সুত্র ধরে প্রতিপক্ষরা ওই রাস্তা বন্ধ করে সেখানে ঘর নির্মান করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তিব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী । জানা গেছে, উপজেলার কোমরপোল গ্রামের কৃষ্ণপদ দাসের ছেলে মন্টু দাস কোমরপোল মৌজার ১১৩০ দাগের ৪.২০ শতক জমি ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি ১৯৯ নং দলিল মুলে মানদা মানদা ঋষির নিকট থেকে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। তফসীলে বর্ণিত জমির সম্মুখ দিয়ে চলাচলের একটি রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় একশো বছর ধরে স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করেন। জমি নিয়ে বিরোধের সুত্র ধরে ওই গ্রামের পঞ্চানন দাসের ছেলে স্বপন দাস, মনোরঞ্জন ওরফে মনা দাস,শ্যামা দাসসহ ওই এলাকার ভুন্ডুল দাস, রুবেল দাস, রানা দাস গত ২৬ জুলাই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মন্টু দাসের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর দোকান ঘর উচ্ছেদ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে যায়। খবর পেয়ে বাধা দিতে আসলে তারা মন্টু দাসকে হুমকি প্রদান করে । এঘটনায় মন্টু দাস ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত ৩০ জুলাই ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এছাড়াও ওই রাস্তা নিয়ে ইউপি মেম্বর ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একাধিকবার উভয়পক্ষের সম্মতিতে মিমাংশা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মিমাংশা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় প্রতিপক্ষরা আবারো চলাচলের ওই রাস্তাটি বন্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে মন্টু দাস প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)