বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দানা’র প্রভাবে… ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরা উপকূলবাসী

মোস্তাক আহমেদ, কলারোয়া: সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে সাতক্ষীরা উপকূলে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপকূলের মানুষ।

সাতক্ষীরা উপকূলের অন্তত নয়টি পয়েন্টে ৬ কিলোমিটার উপকূলরক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসে এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে উপকুলের দুই উপজেলার বিস্তির্ণ জনপদ।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দানার সম্ভাব্য গতিপথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে হলেও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সাতক্ষীরায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত উপকূলের বেড়িবাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটির দুটি পয়েন্টে ২০০ মিটার, দাতিনা খালীর একটি পয়েন্টে ২০০ মিটার, গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা ও দৃষ্টিনন্দনে ৩০০ মিটার, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালিনগর, হরিনগর বাজার ও কদমতলায় ৩৫০ মিটার, কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালিতে ১৫০ মিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া রমজাননগরের দ্বীপ গ্রাম গোলাখালির সবটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আনুলিয়া ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্টে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়নের চাদনিমুখা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে আমাদের বসবাস। আইলার পর থেকে প্রতিবছরই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আমাদের সবকিছু নদীর মধ্যে। জমি জায়গা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। তবে সেটি শেষ হতে এখনো এক বছর সময় লাগবে।

দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, আমার ইউনিয়নের ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে সেটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তারপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সালাউদ্দিন জানান, জেলার ৬৮৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করার জন্য তিন হাজার জিও বস্তা, দুই হাজার প্লাস্টিক বস্তা, ১০ জিও রোল প্রস্তুত আছে। এগুলো দিয়ে এক কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা যাবে। আমাদের সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো বাড়লো

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তীবিস্তারিত পড়ুন

সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করবে না : প্রেস সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলেবিস্তারিত পড়ুন

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

  • জাকসুতে নির্বাচন বর্জন করলো ছাত্রদল
  • মানুষের কাছের মানুষ কলারোয়ার মানবিক ইউএনও জহুরুল ইসলাম
  • সাতক্ষীরার ফিংড়ীতে জামায়াতের যুব বিভাগের ইউনিয়ন ক্লাস অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
  • সাতক্ষীরায় ঘেরের আইলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা
  • বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ
  • ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী