শনিবার, আগস্ট ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলের মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীনের সম্ভাবনা!

নড়াইলের পি-চরসুচাইল বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের শিকার পাংখারচর চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন সময়ে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। বিদ্যালয় ভবন ছাড়াও সংলগ্ন পাংখারচর, চরসুচাইল ও চরপরাণপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নদী ভাঙনে তিনটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, হাজারো গাছপালা ও কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পি-চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে স্কুলের এক একর ১০ শতক মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর এপারে নড়াইল ওপারে গোপালগঞ্জ জেলা। ১৯৭১ সালে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা মধুমতি নদীটি রাতারাতি গতি পরিবর্তন করে ফেলায় এই ৩ গ্রামের মধ্যে বিশাল বাওড়ের সৃষ্টি হয়। তবে এই বাওড়ে মূল মধুমতি নদী থেকে আসা নিয়মিত জোয়ার-ভাটায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই জোয়ার-ভাটার স্রোতে এখানে কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাংখারচর চরসুচাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কথা হয় চরসুচাইল গ্রামের বাসিন্দা কল্লোল ফকিরের সাথে।
তিনি জানান, মধুমতি নদীর মূল স্রোত অন্যত্র দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদী ভাঙ্গনের কষ্ট আমাদের ছাড়ে নাই। বাওড়ের তীরবর্তী তিন গ্রামের মানুষ এখনও নদী ভাঙ্গনে সহায় সম্বল হারাচ্ছে। আমাদের তিন গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন সময়ে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হতে পারে। অনেকে বাড়িঘর, কৃষি জমি, গাছপালাসহ সহায়-সম্বল হারিয়েছেন। ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো অনেককেই বাড়িঘর হারিয়ে ঠাঁই নিতে হবে রাস্তায়।

চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী কামরুজ্জামান বলেন, ১০ বছর আগে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। প্রথম দিকে দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী থাকলেও নদী ভাঙন আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১১০জন। স্কুল মাঠটিও এক বছর আগে নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন টিনশেডের পাকাঘরটির কাছেই ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন থেকে মাত্র ১০ ফুট দুরে আছে স্কুলঘরটি, ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করতে হয়। যেন স্কুলটি রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের কর্মকর্তারা জানান, চরসু চাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে গত বছর একটি প্রকল্প দাখিল করা হলে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। যা দিয়ে ১৭০ মিটার কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো না। তাই পরবর্তীতে মধুমতি নদীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি পাশ হলে এখানে ৬০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যশোরের শার্শায় নিখোঁজের পরদিন ডোবা থেকে যুবকের লা*শ উদ্ধার

এম ওসমান: যশোরের শার্শায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ডোবা থেকে খায়রুল ইসলামবিস্তারিত পড়ুন

মনিরামপুরে প্রাইভেটকারে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মেয়ের মৃ*ত্যু, বাবা-মাসহ আহ*ত-৩

হেলাল উদ্দিন: যশোরের মনিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের আরোহী ইফা (১৩)বিস্তারিত পড়ুন

বাঁচতে চান মনিরামপুরের হান্নান, সহযোগিতার আহবান

হেলাল উদ্দিন: অতিদরিদ্র আব্দুল হান্নান (২৭), পিতা- দেলোয়ার হোসেন, গ্রাম+ডাক- হেলাঞ্চী, মনিরামপুর,বিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
  • উপদেষ্টা মাহফুজের পিতা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি নির্বাচিত
  • ‘সাদাপাথর লুটে জড়িতরা যত বড়ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে’
  • মেঘনা নদী থেকে সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ম*র*দে*হ উদ্ধার
  • যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে না : আবদুল্লাহ মো. তাহের
  • তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছি: এ্যানি
  • ‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেবো’ : সিলেটের ডিসি সারোয়ার আলম
  • পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ
  • বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
  • ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারে কোনো পদে থাকব না- ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  • বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন
  • গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন, তারপর নির্বাচন: আখতার হোসেন