শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বগুড়ার শিবগঞ্জে সতীনের প্রচারণায় দুই সতীন

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মাজেদা বেগম। তার জয়ের জন্য দুই সতীন দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিন সতিন একই সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় বিষয়টি ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েকজন ভোটার বলেছেন, বর্তমান সময়ে যখন সতীনদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না, তখন এক সতীনের জয়ের জন্য আরও দুই সতীন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোট চাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টান্ত।

মাজেদা বেগমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ তার স্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। যে কোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয় সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগমই হবেন সেই প্রার্থী। এরপর সিদ্ধান্ত হয় জয়ী হতে তিন সতীন এক সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন।

সিদ্ধান্ত মোতাবেকই কাজ এগোচ্ছে।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতীন মিনু বেগম, রেনু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আব্দুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত জয়ের আশায় ওয়ার্ডের এ-বাড়ি থেকে ও-বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার ফজলুর রহমান (৪৫) বলেন, সতিন মানেই যে খারাপ কিছু নয়, তা আব্দুস সামাদের স্ত্রীরা প্রমাণ করেছেন। তাদের এই তিন সতীনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী। মিনু বেগম বলেন, আমাদের আলাদা হাঁড়ি। কিন্তু সবাই আপন বোনের মতো ।

শুধু ভোট নয়, সকল সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াই। মাজেদা বেগম বলেন, সতীন মানেই মনে করা হয় শত্রু, কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতীনরা আমার কাছে বোনের মত, অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবো।

আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারে। আর তাদের এই মধুর সম্পর্কের কথা ভোটারেরা জানতে পেরে সকলেই অনেক খুশি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তবে এতে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। মাজেদা বেগম বর্তমানেও ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। গতবারেও একইভাবে প্রচারণা চালিয়ে তারা ভোটারদের মন জয় করেছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মনিরামপুর মহাসড়কে পথচারীদের জন্য শ্যামল ছায়া পরিবেশ

হেলাল উদ্দিন: নিজস্ব অর্থায়নে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের দু’ধারে ফলজ, বনজ এবং ঔষাধি প্রজাতিরবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশে ‘এক কিডনির গ্রাম’, দালাল চক্রের ফাঁদে নিঃস্ব দরিদ্র মানুষ

বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বাইগুনি গ্রাম। নিজের অসম্পূর্ণ ইটের বাড়ির সামনেবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া: নাহিদ ইসলাম
  • হাসিনা সরকারের ক্রীড়াবিদ এমপি-মন্ত্রীরা কোথায়?
  • মুরাদনগরের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব
  • আর কোনো স্বৈরাচার যাতে তৈরি না হয়, তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে: নাহিদ
  • ‘দেশে আ. লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’
  • গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবিত হলো লবণসহিষ্ণু গমের নতুন জাত
  • তদন্তে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি: নাহিদ
  • সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা
  • সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
  • এসএসসির ফল প্রস্তুত, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ
  • এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু