সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিবিএস এর তথ্য মতে খাদ্যের দাম কমেছে, কোন বাজারে? মন্ত্রীকে প্রশ্ন

সবজিসহ নানা খাদ্যপণ্যর দাম কমেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস। তাদের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে। বিবিএস আরও জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমে আট দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল আট দশমিক ৫০ শতাংশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেন।

এসময় নভেম্বর মাসে খাদ্য পণ্যের দাম কমেছে বলে তথ্য প্রকাশ করায় প্রশ্নের মুখে পড়েন পরিকল্পনামন্ত্রী।

সাংবাদিকেরা সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীকে জানায়, বাজারঘাট ঘুরে দেখি প্রতিনিয়তেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। বাজারের সঙ্গে বিবিএস-এর তথ্যের মিল নেই। খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে কোন কোন বাজারে এসব বাজারের তালিকা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা।

মন্ত্রী বলেন, নভেম্বর মাসে অত্যন্ত ভালো খবর পেয়ছি। মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে তা আরও কমার সম্ভাবনা আছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান, শাক সবজি হওয়ার পাশাপাশি তেল গ্যাসের দাম বিশ্বব্যাপী কমায় সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিও সাত শতাংশে যাবে এমন আশা বাদ পরিকল্পনা মন্ত্রীর।

তিনি বলেন, তেল গ্যাস সরকার নিজে কিনে বিক্রি করে। সরকার কোনো মহাজনি নয় এটা নিয়ে লাভ করবে না। বিশ্ববাজারে দাম কমলে অবশ্যই সরকার কমাতে বাধ্য হবে। মূল্যস্ফীতি পরিমাপকের সূচকগুলো পর্যালোচনা করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এমন কিছু পণ্য যা নিত্য প্রয়োজনীয় না তা এ তালিকায় রাখা হবে কিনা তা ভাবা হবে। মূল্যস্ফীতির বাড়ন্ত ভাব নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন, এখানে তা হয়নি। ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করার কারণে সম্ভব হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। গত তিন মাসে ধারাবহিকভাবে মূল্যস্ফীতি হ্যাটট্রিক হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। আমাদের ধান ও সবজি উৎপাদন ভাল হয়েছে। সরকার জ্বালানি কেনে এবং বিক্রি করে। সামাজিক ও বাস্তব কারণে দাম বাড়াতে হয়। বিশ্ববাজারে দাম কমলে আজ হয় কাল আমাদের দেশেও দাম কমবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের ওপর মূল্যেস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলো আবার পূর্ণবিবেচনা করা হবে। কেননা এখানে সোনার দামও ধরা হয়েছে। সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও মাখন ও কফিসহ এ রকম অনেক পণ্যের দাম ও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অনেকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের আশা পূরণ হয়নি। তারা বলতে চেয়েছিল এটা ভালো সময়ের কারণে মূল্যস্ফীতি কমছে। কিন্তু তাদের কথা ঠিক নয়। মুল্যস্ফীতি কমার মূল কারণ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা। এক্ষেত্রে কোনো কোনো পণ্যের কর ছাড় এবং টিসিবিরি পণ্যে বিক্রির কারণে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মধ্যবিত্তের দিকে আলাদা কোনো টার্গেট নেই সরকারের। অর্থনৈতিক, মানবিক ও রাজনৈতিক কারণে নিম্নবিত্তের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাড়িয়েছে আট দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল আট দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে আট দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল আট দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৭০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল আট দশমিক ৯০ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে সাত দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল আট দশমিক ৭৫ শতাংশ। খাদ্য বর্হিভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ।

নভেম্বরে মজুরি হার শতকরা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৯১ শতাংশ। কৃষি খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় দশমিক ৯০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৮৫ শতাংশ।

শিল্প খাতে মজুরি হার বেড়ে দাড়িয়েছে সাত দশমিক শূণ্য ছয় শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে দাড়িয়েছে সাত দশমিক ১৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল সাত দশমিক ১১ শতাংশ।

গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাত দশমিক ৪৮ শতাংশ, আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।

গত জুলাইয়ে মজুরি হার ছিল ছয় দশমিক ৫৬ শতাংশ, আগস্টে ছিল ছয় দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার গুলশান এলাকায় ভোটবিস্তারিত পড়ুন

ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজনীতিতে বহুল চর্চিত সেইফ এক্সিট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জাববে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্টবিস্তারিত পড়ুন

আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাই: ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক এক্সিট চান বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীবিস্তারিত পড়ুন

  • সাধারণ কর্মী নিয়োগে প্রথমবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর
  • সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৩৩ হাজার কোটি টাকা
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া নিয়ে সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
  • সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে প্রধান শিক্ষকদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ
  • হজ প্যাকেজ ঘোষণা: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা
  • ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এল সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা
  • গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, এখন নিজেরাই খেলব: প্রধান উপদেষ্টা
  • বর্তমান সিইসিকে সাবেক সিইসিদের পরিণতি স্মরণ করালেন সুশীলরা
  • নির্বাচনে কারও পক্ষে অন্যায়-বেআইনি নির্দেশনা দেবো না: সিইসি
  • জুলাই আন্দোলনের এক নম্বর কারণ পচা নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ