বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম।
অন্যদিকে প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ভারত। বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন ১০৭। এছাড়া পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানসহ ৩৫টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা মারাত্মকভাবে দেখা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এনডিটিভি ও আল জাজিরা’র খবরে বলা হয়েছে, হাঙ্গার ইনডেক্সে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি (ভারত) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার তুলনায় খারাপ করেছে। টানা তিন বছর ধরে ভারতের র্যাঙ্কিং কমেছে। এর আগে আগে ২০২১ সালে ১০১ এবং ২০২০ সালে ৯৪ নম্বরে ছিল ভারত।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা জিএইচআই রিপোর্টটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ ও জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’। খাবারের মূল্য ও সহজলভ্যতার ভিত্তিতে এ তালিকা তৈরি করা হয়।
তালিকার শুরুতেই রয়েছে বেলারুশ, তারপর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিন নম্বরে চিলি, চারে চীন ও পাঁচে ক্রোয়েশিয়া রয়েছে। এছাড়া তুরস্ক, কুয়েতসহ ১৭টি দেশ রয়েছে তালিকার একেবারে উপরে। এসব দেশর স্কোর পাঁচের কম এবং এসব দেশের মানুষ প্রয়োজন মতো খাবার পাচ্ছে।
অর্থনৈতিক সংকটে পরার পরও চলতি বছর উপমহাদেশে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটি রয়েছে ৬৪ নম্বরে। এছাড়া নেপাল ৮১ নম্বর ও পাকিস্তান ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে।
বৈশ্বিক ক্ষুধা তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যেসব দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম, সেই দেশগুলো ‘ভাল’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর রয়েছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিকর ও অত্যন্ত ভীতিকর।
জিএইচআই জানিয়েছে, ভারতে এবার সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে রয়েছে।
এদিকে ক্ষুধা সূচকে ভারতের পতন দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস।
অন্যদিকে মোদি সরকার এই রিপোর্টকে বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করেছে।
মোদির সরকারের দাবি, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয়, তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)