রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মুমিন ব্যক্তি কি অসুস্থতা ও মহামারিতে আক্রান্ত হতে পারেন?

অনেককেই বলতে শোনা যায়, মহামারি মুসলমান কিংবা মুমিন বান্দার হতে পারে না। এদের অসুস্থতা বা রোগ-ব্যধি হতে পারে না। বাস্তবেই কি এ কথা ঠিক যে, অসুস্থতা, রোগ-ব্যধি কিংবা মহামারি মুসলমান-মুমিন বান্দার মাঝে আসতে পারে না? এই অসুস্থতা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

‘না’, এটি ভুল ধারণা। মুমিন মুসলমান অসুস্থতা কিংবা মহামারিতে আক্রান্ত হতে পারে না- ইসলামের সঙ্গে এ কথার কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা কুরআনুল কারিমে বর্ণনা, হাদিসের নির্দেশনা এবং ইসলামের ইতিহাসের সোনালী ঘটনাগুলো এর প্রমাণ

রোগ-শোক, মহামারি ও ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক নবি-রাসুল, সাহাবায়ে কেরাম এবং ইসলামিক স্কলারগণ। মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে শহিদ হয়েছেন বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ। যিনি দুনিয়াতেই পেয়েছিলেন জান্নাতের নিশ্চয়তা।

রোগ-ব্যধি ও মহামারি সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা
কুরআনুল কারিমের অনেক স্থানে অসুস্থতার বর্ণনা আছে। যা যুগে যুগে নবি-রাসুলদের হয়েছিল। আর তারা তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রায় প্রার্থনা করেছেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা অসুস্থতার বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন-
عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَى
তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে।’ (সুরা মুযযাম্মেল : আয়াত ২০

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় নবি ও তার প্রিয় বান্দাদের রাত জেগে কুরআন তেলাওয়াত ও রাতের ইবাদত সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। আর ধারাবাহিক রাতজেগে ইবাদত করলে কেউ কেউ অসুস্থ হতে পারে সে কথাও আল্লাহ তাআলা তুলে ধরেছেন। পুরো আয়াতটি ছিল এই-
‘আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি ইবাদতের জন্য দন্ডায়মান হন রাতের প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দণ্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিন ও রাত পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পারবে না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু তেলাওয়াত কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্য যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা মুযযাম্মেল : আয়াত ২০)

যে কোনো মানুষসহ মুমিন বান্দা যে অসুস্থ হতে পারেন এ আয়াতই তার প্রমাণ। কারণ আল্লাহ বলেছেন অসুস্থ হয়ে গেলে অল্প পরিমাণ হলেও তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর।

আবার রোজার বিধান দেওয়ার পর আল্লাহ তাআলা অসুস্থদের জন্য রমজানের ফরজ রোজাকেও শিথিল করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে লোক এ (রমজান) মাসটি পাবে, সে যেন এ মাসের রোজা রাখে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

মুমিন বান্দাসহ যে কোনো মানুষ অসুস্থ হতে পারেন- এ আয়াতও এর একটি প্রমাণ-
لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى أَنفُسِكُمْ أَن تَأْكُلُوا مِن بُيُوتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ آبَائِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أُمَّهَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ إِخْوَانِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخَوَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَعْمَامِكُمْ أَوْ بُيُوتِ عَمَّاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخْوَالِكُمْ أَوْ بُيُوتِ خَالَاتِكُمْ أَوْ مَا مَلَكْتُم مَّفَاتِحَهُ أَوْ صَدِيقِكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَأْكُلُوا جَمِيعًا أَوْ أَشْتَاتًا فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون
‘অন্ধের জন্য দোষ নেই, খঞ্জের জন্য দোষ নেই, অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোষ নেই, এবং তোমাদের নিজেদের জন্যও দোষ নেই যে, তোমরা আহার করবে তোমাদের ঘরে অথবা তোমাদের পিতাদের ঘরে অথবা তোমাদের মাতাদের ঘরে অথবা তোমাদের ভাইদের ঘরে অথবা তোমাদের বোনদের ঘরে অথবা তোমাদের পিতৃব্যদের ঘরে অথবা তোমাদের ফুফুদের ঘরে অথবা তোমাদের মামাদের ঘরে অথবা তোমাদের খালাদের ঘরে অথবা সেই ঘরে- যার চাবি আছে তোমাদের হাতে অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে। তোমরা একত্রে আহার কর অথবা পৃথকভবে আহার কর, তাতে তোমাদের কোনো দোষ নেই। অতঃপর যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ননা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও।’ (সুরা নুর : আয়াত ৬১)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা এ কথা বুঝিয়েছেন যারা চোখে দেখে না, যারা প্রতিবন্ধী কিংবা অসুস্থ তাদের সধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এখানেও আল্লাহ তাআলা অসুস্থতার কথা বলেছেন। যে মানুষ অসুস্থ হতে পারে।

নবি-রাসুলদের রোগ-ব্যধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা
সাধারণ মানুষ যত পরহেজগার কিংবা আল্লাহ ভিরু হোক না কেন, কখনো কোনো নবির সঙ্গে তাদের তুলনা হবে না। মুসলমান মুমিন বান্দা অসুস্থ হবে না এমন কথা বলা ঠিক নয়; কেননা নবি-রাসুলগণও অসুস্থ হয়েছেন। কুরআনের তাদের বর্ণনা ওঠে এসেছে এভাবে-
১. হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে অসুস্থতা থেকে বাঁচতে এভাবে আশ্রয় চেয়েছেন-
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।’ (সুরা শুয়ারা : আয়াত ৮০)

২. আল্লাহর নবি হজরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করেছেন-
وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
এবং স্মরণ করুন আইয়ুবের কথা; যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেন- আমি (অসুস্থতা) দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৩)

নবি-রাসুলদের বর্ণনা থেকেও এটি সুস্পষ্ট যে, যেখানে নবি-রাসুলগণ অসুস্থ হয়েছেন; সেখানে মুমিন মুসলমান অসুস্থ হতে পারেন না। অসুস্থতা মুমিন মুসলেমানকে আক্রান্ত করতে পারে না এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা।

মহামারি প্রতিরোধে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত-
এতো গেল অসুস্থতার কথা। আবার অনেকে বলেন, মুমিন মসলমানদের মহামারিও হতে পারে না। হাদিসের বর্ণনা ও দিকনির্দেশনার আলোকে এ ধারণাও ভুল। কেননা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে সাহাবি হজরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুসহ অনেক সাহাবি এবং যুগে যুগে অনেক ইসলামিক স্কলাররা ইন্তেকাল করেছেন।
ইসলামি খেলাফতের প্রথম যুগে মহামারি প্রতিরোধে হজরত ওমরের সিদ্ধান্তই ছিল যুগোপযোগী। ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ১৮ হিজরির ঘটনা। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন ইসলামি খেলাফতের আমির। সে সময় সিরিয়া-প্যালেস্টাইনে দেখা দেয় মহামারী প্লেগ। খলিফা ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে জানতে পারেন সিরিয়ায় মহামারি প্লেগ দেখা দিয়েছে। তাতে তিনি হাদিনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর সিরিয়া সফর স্থগিত করেছিলেন। মহামারি প্রতিরোধ ও আত্মরক্ষায় তা ছিল হজরত ওমরের সময়ের সেরা কার্যকরী সিদ্ধান্ত।

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সফরের উদ্দেশ্যে মদিনা থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। মদিনা থেকে ‘সারগ’ নামক অঞ্চলে পৌছলে সেনাপতি আবু উবায়দাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু জানান যে, সিরিয়ায় প্লেগ তথা মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইসলামে ইতিহাসে এ ঘটনা তাউনা আম্মাউস (طاعون عمواس) নামে পরিচিত। সে সময় তিনি সফর স্থগিত করেছিলেন।

যারা বলেন মুমিন মুসলমানকে মহামারি আক্রান্ত করবে না এটি তাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষানীয় বিষয়। সে সময়টিতে সিরিয়ায় মহামারি প্লেগ-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় হজরত ওমর প্রবীণ সাহাবাদের কাছে এ মর্মে পরামর্শ চান যে, তিনি সিরিয়া সফর করবেন নাকি মদিনায় ফিরে যাবেন? সাহাবাদের মধ্য থেকে দুইটি মতামত জানানো হয়-
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু রাষ্ট্রীয় সফরে মহামারি প্লেগ আক্রান্ত অঞ্চলে যাবেন নাকি মদিনায় ফিরে যাবেন এ নিয়ে ৩টি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়-

– প্রথমটি ছিল : প্রবীণ সাহাবাদের পরামর্শ
কিছু সাহাবা মতামত দিলেন যে, আপনি যে উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, সে উদ্দেশে সফর অব্যাহত রাখেন। অর্থাৎ সিরিয়ায় যাওয়ার পক্ষে মত দেন। আবার কিছু সাহাবা বললেন, ‘খলিফার সিরিয়া যাওয়া উচিত হবে না।

– দ্বিতীয় ছিল : আনসার ও মুহাজিরদের পরামর্শ সভা
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রবীণ সাহাবাদের কাছ থেকে দুইটি মতামত পাওয়ায় পুনরায় পরামর্শের জন্য আনসার ও মুহাজির সাহাবাদের ডাকলেন। তারাও মতপার্থক্য করলেন।

– সবশেষে ছিল : প্রবীন কুরাইশদের পরামর্শ সভা
খলিফা ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সবশেষে প্রবীণ কুরাইশদের ডাকলেন। তারা কোনো মতানৈক্য না করে সবাই এ মর্মে মতামত ব্যক্ত করলেন যে-
‘সিরিয়ার সফর স্থগিত করে আপনার মদিনায় প্রত্যাবর্তন করা উচিত। আপনি আপনার সঙ্গীদের মহামারি প্লেগের দিকে ঠেলে দেবেন না।’

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রবীণ কুরাইশদের এ মতামতটি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সিরিয়ার সফর স্থগিত করে মদিনায় ফিরে গেলেন।

খলিফার মদিনায় ফেরত যাওয়া দেখে অনেক সাহাবায়ে কেরাম তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন- هل تفر من قدر الله – (أفرار من قَدَر الله) فقال عمر: نعم، نَفِر من قَدَر الله إلى قدر الله
‘হে আমিরুল মুমিনিন! আপনি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত তাকদির থেকে পলায়ন করে ফিরে যাচ্ছেন? তখন তিনি বললেন, আমি তাকদির থেকে তাকদিরের দিকেই রওয়ানা হলাম।’

সেনাপতি হজরত আবু উবাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুও খলিফা হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এ প্রশ্ন করেছিলেন। আর তা শুনে হজরত ওমর মনে কষ্ট পেলেন। প্রিয় মানুষের কাছে যেভাবে আপনজন কষ্ট পায়। কেননা হজরত আবু উবায়দাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন খলিফার অনেক পছন্দ ও ভালোবাসা পাত্র। তাছাড়া সেনাপতি আবু উবায়দাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবাদের অন্যতম একজন।

তখন হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আবু উবায়দাহ! এ কথাটি তুমি না বলে যদি অন্য কেউ বলতো! তিনি সেনাপতির কথার উত্তরে বললেন- ‘হ্যাঁ’, আমরা আল্লাহর এক তাকদির থেকে আরেক তাকদিরের দিকে ফিরে যাচ্ছি।’ হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সেনাপতি আবু উবায়দাহকে এ কথা বুঝাতে একটি উদাহরণ তুলে ধরেন এবং বললেন-
‘তুমি বলতো, তোমার কিছু উটকে তুমি এমন কোনো উপত্যকায় নিয়ে গেলে যেখানে দুইটি মাঠ আছে। মাঠ দুইটির মধ্যে একটি মাঠ সবুজ শ্যামলে ভরপুর। আর অন্য মাঠটি একেবারে শুষ্ক ও ধূসর। এখানে উট চরানো নিয়ে বিষয়টি কি এমন নয় যে, ‘তুমি সবুজ-শ্যামল মাঠে উট চরাও। আর তা আল্লাহর নির্ধারিত তাকদির অনুযায়ীই চরিয়েছ। আর যদি শুষ্ক মাঠে চরাও, তা-ও আল্লাহর তাকদির অনুযায়ী চরিয়েছ।

এ উপমায় হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সেনাপতিকে এ কথাই বলতে চাচ্ছেন যে, হাতে সুযোগ থাকতে ভালো গ্রহণ করার মানে এই নয় যে, আল্লাহর তাকদির থেকে পালিয়ে যাওয়া।’

সে সময় হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি হাদিস বর্ণনা করেন। সে হাদিসের বর্ণনায় হজরত আবু উবায়দাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর জিজ্ঞাসার পরিপূর্ণ সমাধান ওঠে এসেছে। তাহলো-
হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস শোনালেন। আর তাহলো-
‘তোমরা যখন কোনো এলাকায় মহামারি প্লেগের বিস্তারের কথা শুনো, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি কোনো এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়েও যেও না।’ (বুখারি)

এ হাদিস থেকেও প্রমাণিত যে, মহামারি শুধু সাধারণ মানুষ কিংবা অমুসলিমদের হবে আর মুমিন-মুসলমানের হবে না। বিষয়টি এমন নয়; বরং যে কারো মহামারি, রোগ-ব্যধি হতে পারে। ইসলামে এ নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করার কোনো সুযোগ নেই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে করোনাসহ সব সংক্রামক মহামারি ও রোগ-ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন। ইসলামের দিকনির্দেশনার প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দেখানোর তাওফিক দান করুন। মহামারিরোধে হাদিসের ওপর আমল ও সতর্ক থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে পানি-খাবার স্যালাইন-মাথার ক্যাপ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারাদেশে অনেকদিন ধরে টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র্র রোদ সাথেবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিমের পথসভা

স্টাফ রিপোর্টার: একুশে মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীবিস্তারিত পড়ুন

সস্ত্রীক পবিত্র হজ্জ্ব ব্রত পালনে যাচ্ছেন সাবেক কমান্ডার শহিদুল ইসলাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার, ব্রহ্মরাজপুর ইউপিরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার চান্দুড়িয়ায় লাল্টু-ইমরান-খুকুর পক্ষে নির্বাচনী সভা
  • এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
  • সাতক্ষীরার উন্নয়নে পাঁচ এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির
  • কলারোয়ায় প্রচন্ড গরমে খামারে খামারে মুরগীর মৃত্যু, আতংকিত পোল্ট্রি খামারীরা
  • পাটকেলঘাটায় ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেফতার
  • কালিগঞ্জে দুই প্রতারক আটক
  • উপজেলা নির্বাচনে সম্পৃক্ততা, বিএনপির আরো ৬১ নেতা বহিষ্কার
  • এমপি হিসেবে পাওয়া সরকারি বরাদ্দ কেন ফেসবুকে শেয়ার করেন, জানালেন ব্যারিস্টার সুমন
  • ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করলো ৩৬ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ
  • ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা: মো: মাহমুদুল হাসান পলাশ
  • একদিনে চার জেলায় সড়কে ঝরলো ১০ প্রাণ
  • বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, কাল থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা