শিশির মনির
সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে বাধা দেয়া অনেককে চিহ্নিত করা গেছে
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2025/02/1-102.jpg)
![](https://kalaroanews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বাধা দেওয়া অনেককে চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মামলার বাদী নওশের রোমান, সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন।
শিশির মনির বলেন, বিগত সরকারের আমলে উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরিকল্পভাবে নষ্ট করা হয় মামলার আলামত। জড়িতদের অনেককেই টাস্কফোর্স চিহ্নিত করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ১৩ বছরেও হত্যা রহস্য উন্মোচন না হওয়া রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। তবে মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অতীতে উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। যারা বাধা দিয়েছিলেন, তাদের নাম তদন্তে উঠে আসবে। অনেককে চিহ্নিত করা গেছে। তাই আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
রুনির ভাই নওশের রোমান বলেন, ‘কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত বলে মনে হচ্ছে। সেই কারণেই তদন্তে বাধা দেয়া হয়েছিল।’
রুনির একমাত্র সন্তান মেঘও বলছেন, এবার তারা আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আগে তো কিছুই হয়নি। এখন টাস্কফোর্স কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে ইতিবাচক কিছু হবে।’
শিশির মনির বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা রয়েছে। টাস্কফোর্সে যারা রয়েছেন, তারা মামলার বাদী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত আগায়নি।
এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয় পুলিশের একজন প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি ও র্যাবের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদের ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলার বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
![](https://kalaroanews.com/wp-content/uploads/2023/09/kalaroa-homio-hall-1024x549.jpeg)