সাতক্ষীরার কাথন্ডায় একই স্থানে গভীর নলকূপ বসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) কর্তৃক উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে আরো একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি সরবাহের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত খোদ বক্সের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার অনুমোদিত বিআরডিবি’র মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা মৌজার ১৭০ নং খতিয়ানের ৬৮৫ দাগে ৬ শতক জমিতে একটি গভীর নলকূপ বসাই। সেই থেকে এই নলকূপের মাধ্যমে আশেপাশের প্রায় ৩৩ একর জমিতে স্থনায় কৃষকের ইরি ব্লকে পানি সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাথন্ডা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) ও মৃত সামছুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম গত ৬/০৭/২০ তারিখে একই এলাকায় আমাদের নকূপ থেকে আনুমানিক ১৫০ মিটারের মধ্যে আরো একটি গভীর নলকূপ বসানো শুরু করে। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ এর ৮০০ মিটারের মধ্যে আর কোন গভীর নলকূপ বসবে না। এছাড়া সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন গভীর নলকূপ বসানো যাবে না।
এঘটনায় আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সভাপতি উপজেলা সেচ কমিটি, বিএডিসি ও উপজেলা
চেয়ারম্যানসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।
সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আমার অভিযোগে প্রেক্ষিতে ৭/০৭/২০ তারিখ সকাল ১০ টায় বিএডিসি’র
পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্তে এসে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় জুলফিকার গংদের নকূপ স্থাপন বন্ধ রাখার জন্য বলা হয় এবং লাল ফ্লাগ স্থাপান করা হয়।
এছাড়া ৯/০৭/২০ তারিখে বিএডিসি’র সহকারি প্রকৌশলী মোঃ হাফিজ ফারুক তার তদন্ত প্রতিবেদনে নীতিমালা অনুযায়ী সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে এবং জুলফিকার আলীর গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ সরকারি নীতিমালা পরিপন্থি হওয়ায় আপতত স্থগিত রাখা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী লাল ফ্লাগ তুলে ফেলে কাজ শুরু করে। আমরা নিষেধ করলে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদেরকে
মারপিট করতে আসে। পরে আমরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত ইনজাকশন জারি করেন।
এঘটনায় জুলু গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
এঘটনায় আমরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করি। পরে এডিএম
কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা করি। কিন্তু এসবর পরও জুলফিকার আলী গংরা উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ অব্যহত রাখার চেষ্টা করছে। একই সাথে জুলফিকার আমাদের গভীর নলকূপের মেশিন চালাাতে বাধা দিচ্ছে এবং তার মেশিন চালানোর পায়তারা করছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য ও সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী গংরা যাতে কাথন্ডা মৌজায় একই স্থানে কোন গভীর নলকূপ চালু করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা
করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)