সাতক্ষীরার খানপুরে মিথ্যা অপহরণ মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে বিএনপি ক্যাডার মারুফের ইন্ধনে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে এক কিশোরীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে আ’লীগ নেতা ইব্রাহীম খলিলসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শতশত এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার(১৮ জানুয়ারি) খানপুরের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় খানপুর বাজারে স্থানীয় নূর মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত কিশোরের মা তহমিনা খাতুন, শিক্ষক ফেরদৌসি, আ’লীগ নেতা রেজাউল করিম, মিজানুর রহমান, ফেরদৌসী, কাকলি, নার্গিস সুলতানাসহ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খানপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ইজিবাইক চালক আজমির হোসেন(১৭) এর সাথে ১ বছর ধরে একই এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লিজা (১৩) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর যাত্রিসহ ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আজমির হোসেনকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে লিজার বাবা, ভাইসহ কয়েকজন ব্যাপক মারপিট করে। এরপর লিজাকে তার পরিবার শহরের আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসে এবং আজমিরের পরিবারের সদস্যরা ওই মেয়ের সাথে যোগাযোগ না রাখার জন্য আজমিরকে সতর্ক করে।
এরপর হতে লিজার সাথে আজমির যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত রোববার বিকাল ৫টার দিকে এলাকার শিশুসহ বয়স্কদের সামনে প্রকাশ্যে লিজা স্বেচ্ছায় আজমিরদের বাড়িতে যায়। আজমিরদের বাড়িতে লিজা যাওয়ার কয়েক মিনিট পরে লিজার মা হালিমা খাতুন ও ভাই আবির হোসেন আজমিরদের বাড়িতে যেয়ে লিজাকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু লিজা মা-ভায়ের সাথে বাড়িতে আসতে না চেয়ে আজমিরদের ঘরে যেয়ে বসলে লিজার ভাই ঘরের দরজায় লাথি মেরে ঘর থেকে লিজাকে বের করে ব্যাপক মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ভাই ও মা মারতে মারতে লিজাকে রাস্তায় নিয়ে আসলেও লিজা বাড়ি আসতে রাজি না হওয়ায় লিজাকে রেখে মা ও ভাই বাড়িতে চলে আসে এবং প্রশাসনের মাধ্যমে লিজাকে বাড়িতে আনবে বলে হুমকি দিয়ে আসে। এরপর আজমিরের পরিবারের পক্ষে ৯৯৯ এ কল করা হলে পুলিশ রাত ১১ টার দিকে লিজা ও আজমিরের মাকে থানায় নিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় রাতেই আজমিরের বাবা ৯৯৯ এর পরামর্শে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বক্তারা আরো বলেন, ঘটনার পরদিন বিকালে আজমিরের মাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু বিএনপি ক্যাডার মারুফের ইন্ধনে ওই ঘটনায় কিশোর আজমির, আ’লীগনেতা ও সাবেক মেম্বর ইব্রাহীম খলিলসহ ৫ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি মিথ্যা অপহরণের মামলা দায়ের করে লিজার বাবা। রোববার বিকালে লিজা স্বেচ্ছায় আজমিরদের বাড়িতে যায়। ওকে কেউ আজমিরদের বাড়িতে আনেনি।
তবে কেন আজমির, সাবেক মেম্বরসহ ৫ জনের নামে অপহরণের মামলা করা হলো। আমরা ওই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ওই মামলা প্রত্যাহারসহ তদন্তকরে প্রকৃত দোষী যদি কেউ হয় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)