আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সদর উপজেলায় ফুটবল মাঠের দক্ষিন পাশে আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত।
১৯৮৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকে। আশাশুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযোগ উঠছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় ,গতো ১২-০৪-২০২৩ তারিখে আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৩ টি পদে নিয়োগের জন্য দৈনিক কাফেলা এবং দৈনিক মানবজমিনের পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক পদে ১, অফিস সহায়ক ১, পরিছন্ন কর্মী ১ জন। নিয়োগের জন্য একাধিক প্রার্থী হওয়ায় স্কুল কমিটি পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৯ সাল থেকে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন শ্রমিকলীগ নেতা ঢালী শামসুল আলম তার তত্ত্বাবধানে চলছে বিদ্যালটি। আশাশুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক কামরুন নাহার জানান, আমি ১৯৮৫ সাল থেকে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি বাড়ি বাড়ি যেয়ে যেয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। সবকিছু ঠিক ভাবে চলছিলো কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন শ্রমিকলীগ নেতা ঢালী শামসুল আলম তার পর থেকে স্কুল তার নিয়মে চালাচ্ছে। সে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য করে এবং সেই টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের কোন কাজ করে না।
আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহার তিনি আরো জানান, বিগত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেন। এরপর তিনি তার দৈনন্দিন বিদ্যালয়ের কাজ করার সময় বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন সভাপতি ঢালী সামছুল আলম।এমনকি তার চুক্তিভিত্তিক মাসে ১০ হাজার টাকা বিদ্যালয় থেকে সম্মানী দেয়ার কথা থাকলেও সেটিও তাকে প্রদান না করে বিদ্যালয়ের কোয়াটারে যেখানে প্রধান শিক্ষিকা থাকেন সেখানে তালা মেরে তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। সভাপতি বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সহ অফিস সহায়ক ও পরিছন্ন কর্মী নিয়োগ এবং অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান কাছে আশাশুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ টি পদে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিন পদে নিয়োগের জন্য লেনদেন হয়ছে। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সে সিলেক্ট হয়ে গেছে বাহরে অনেক জায়গায় বলছে এবং সে তার কাছের লোক হওয়ায় তাকে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ দিচ্ছে বলে জানতে পারলাম।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঢালী সামছুল আলম প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহারকে লাঞ্চিতসহ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহার অবসরে গেছেন। স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যর বিষয়ে বলেন, নিয়মতাত্রিক পন্থায় স্কুলের স্বার্থে নিয়োগ হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার জানান, আমরা নিয়োগের ব্যাপারে একজন ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়ছে । প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহারের বিষয়ে আমার কাছে কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়নি ও কোর্টের রায়ের কোন কাগজ আমি পাইনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)