উত্তাল মিয়ানমার: কারাগারে সু চির দলের আরো এক নেতার মৃত্যু
মিয়ানমারে দুই দিনের ব্যবধানে কারাগারে আটক অবস্থায় মারা গেছেন অং সান সুচির দলের আরো একজন নেতা। গতকাল মঙ্গলবার আটক হওয়া ওই নেতা কী কারণে মারা গেছেন, সে বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি জান্তা সরকার।
এদিকে, দেশটিতে চলমান জান্তাবিরোধী আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষোভে সামরিক সরকারের দমন-পীড়নকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিদিনকার চিত্র সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমারের রাজপথ। চলে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান-বিক্ষোভ। বিক্ষোভের প্রথম দিকে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকলেও ক্রমেই বাড়ছে তাদের উপস্থিতি।
বিক্ষোভ যতই দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে ততই বাড়ছে আন্দোলকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং আহ্বান উপেক্ষা করে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো অব্যাহত রেখেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
শুধু বিক্ষোভে গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি নিরাপত্তা বাহিনী। মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ অং সান সুচির দলের নেতাকর্মীদের আটক করে তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এমন অভিযোগের মধ্যেই কারাগারে আটক অবস্থায় মারা গেছেন অং সান সু চির দলের আরো একজন নেতা। মঙ্গলবার আটক হওয়া ওই নেতা কী কারণে মারা গেছেন, জান্তা সরকার মুখ না খুললেও পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশটিতে চলমান সংকটের মধ্যে বিক্ষোভে সামরিক সরকারের দমন-পীড়নকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, কোনো আহ্বানই তোয়াক্কা করছে না মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশটির বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
সূত্র: রয়টার্স
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)