সোমবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনা আর বন্যায় ভাইসা গেছে ঈদের আনন্দ

আমাগো ঈদের আনন্দ করোনা রোগ আর বন্যার পানিতে ভাইসা গেছে। কোরবানির ঈদে এক টুকরা মাংস তো দূরের কথা, একটু স্যামাইও জুটে নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন, দিনমজুর নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ছিল ভূঞাপুর উপজেলার কোনাবাড়ি চরে। ১০ বছর আগে যমুনায় বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। তারপর গোবিন্দাসি ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। নুরুলের সেই ঘরও এখন বন্যার পানিতে থইথই। তাই গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস আগে থেকে নিয়মিত কাজ পান না। সঞ্চয় যা ছিল, তা শেষ। এক মাস ধরে বন্যার কারণে এই সড়কের পাশে রয়েছেন। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঈদের আনন্দ বলে কিছু তাঁদের নেই।

শুধু নুরুল ইসলাম নন। তাঁর মতো পাঁচ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে। ১আগস্ট শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কেউ পলিথিন দিয়ে, কেউ টিন দিয়ে ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ নেই মানুষগুলোর মধ্যে।

সড়কের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘এহানে যারা আছে তাগোরে কারও কোরবানি তো দূরের কথা, তিন বেল খাবার সামর্থ্যই নাই।’ কাইঞ্জা শেখ বলেন, এক মাস ধরে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে ঈদের দিনেও কোনো আনন্দ নেই।

বিকেল চারটার দিকে সড়কটির কষ্টাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পলিথিনের ডেরার ভেতর জহুরা বেগম নামের এক নারী রান্না করছেন। ঈদের দিন, মাংস রান্না করছেন কি না, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ডাইল-ভাত জুটে না, মাংস পামু কনে। গ্রামে থাকলে সমাজের মাংস কিছু পাওন যাইত।’ জহুরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার সময় আশপাশের ডেরা থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, ত্রাণ দেওয়ার জন্য নাম লেখা হচ্ছে। তালিকায় নাম তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। আসলে তা নয়, বিষয়টি জানতে পেরে সবার মন খারাপ হয়ে যায়।

রেনু বেগম নামের এক নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এখন খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে। তাই ঈদের দিনও তাঁদের কাছে অন্য দিনের মতোই অভাবের।

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এই সড়কটিতে গোবিন্দাসি ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরা বেশির ভাগই যমুনার ভাঙনে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়েছেন। সব হারিয়ে কেউ সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অথবা আশপাশের গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকছে।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজনকে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপির পক্ষ থেকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় প্রান্তিক খামারির কপাল খুললো গাভীর জোড়া বাছুরে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরায় একটি গাভীর একসাথে দুইটা জমজ এঁড়ে বাছুর হয়েছে। এইবিস্তারিত পড়ুন

দেবহাটায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া

দেবহাটা প্রতিনিধি: “আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষাৎ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যবিস্তারিত পড়ুন

কয়রায় পিতার হত্যা মামলা তুলে নিতে খুবি শিক্ষার্থীকে হুমকি

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: কয়রায় আলোচিত শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকেবিস্তারিত পড়ুন

  • ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাশ শহীদ আবু সাঈদ
  • ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেভাবে পালিয়ে ভারত থেকে রাশিয়ায়
  • এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
  • আশাশুনির ৯৫ টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন
  • ইছামতিতে বাংলাদেশ-ভারতের নিজ সীমানায় প্রতিমা বিসর্জন
  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
  • কলারোয়ার মণ্ডপ গুলোতে বিষাদের সুর, প্রস্তুতি বিসর্জনের
  • কলারোয়ার জয়নগরে মন্দির পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা
  • কেশবপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব
  • নেতাকর্মী নিয়ন্ত্রণে ‘হিমশিম’ খাচ্ছে বিএনপি : বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
  • আশাশুনিতে দুই শতা‌ধিক অসহায়-দুঃস্থ প‌রিবা‌রকে মধ্যাহ্নভোজ করালেন ‘উদারতা’