কলারোয়ায় আ.লীগ অফিসের আসবাবপত্র বের দিলেন বিজয়ী বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান!
কলারোয়া উপজেলার ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা বাজারের আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দলীয় কার্যালয় দখলে নিয়েছেন সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা। সেখানকার আসবাবপত্র বের করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়িতে। এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ.লীগ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী।
তারা জানান, সোমবার বেলা ১টার দিকে স্থানীয় বাটরা বাজারের দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল রহমান নিশানের সমর্থকেরা।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বেলা ১টার দিকে স্থানীয় বাটরা গ্রামের মন্টু, আলতাফ হোসেনের পুত্র জীবনসহ ৮ থেকে ১০ জনকে দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র বের করতে দেখা গেছে।
তারা আরো জানান, দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবত এটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো।
নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমি কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পরবর্তিতে সাংগাঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে এই দলীয় কার্যালয়টি তৈরী করেছিলাম। সেই থেকে এটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি পরাজয় বরণ করার পর ৪ অক্টোবর আমাদের সেই দলীয় কার্যালয়টি দখল করে নিয়েছেন ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহফুজুল রহমান নিশান। আমি এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবিরকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।’
জালালাবাদ ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি মহৎ উদ্দেশ্য সকলে মিলে এক সাথে বসার জন্য এবং এটার সংস্কার কাজ, রঙের কাজ করার জন্য সব ফার্ণিচার বের করে দিয়েছি। সেগুলো যাতে নষ্ট হয়ে না যায় তাই ভ্যানে করে আমজাদ সাহেবের ভাই জাকিরের মাধ্যমে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান বর্তমান ঢাকায় অবস্থান করার কারণে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না জানিয়েছেন সাংবাদিককে।
এদিকে, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মোসলেম আহমেদ বলেন, ‘আমজাদ তো আওয়ামী লীগের বাহিরের লোক নয়, সে তো নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিল। তাহলে অফিস দখল করে তার ফার্ণিচার বের করে দিয়ে আরেক জনের ফার্ণিচার ঢোকানো হলো তাদের পরিচয় কি? তারা কারা?’
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বলেন, ‘এ ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)