চালের দাম বাড়ার কারণ জানালেন মিল মালিক
চালের বাজারে প্রচুর মজুত রয়েছে। চলছে আমনের ভরা মৌসুম। এরপরও গত কয়েক দিনে শেরপুরে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। শেরপুর শহরের নয়ানিবাজারে খুচরা ও পাইকারিতে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রওশন বলেন, ধানের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে চালের দাম একটু বেড়েছে। তবে এখন আবার চালের দাম কমতে শুরু করেছে।
শেরপুর শহরের নয়ানিবাজারের খুচরা ও পাইকারি চালের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা বেশি দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের করার কোনো কিছুই নেই। তাছাড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় শেরপুরে চালের দাম কমই রয়েছে।
নয়ানিবাজারের চাল ব্যবসায়ী বুদ্ধদেব সাহা বলেন, চালের বাজার একটু বাড়তি। আগের মিল-মালিকরা নতুন ধানের এক বস্তা চালের দাম নিতেন ২ হাজার ৪০০ টাকা; এখন ২ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ২৮ ও ২৯ চালের বস্তা ১০০ টাকা করে বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা করে। মিল মালিকরা বলেন ধানের দাম বেশি। এ কারণে চালের দাম বেশি। অন্যান্য জায়গায় চালের দাম যেভাবে বেড়েছে শেরপুরে সে তুলনায় বাড়েনি।
নয়ানিবাজারের শ্রমিক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমগরে চলা খুব অসুবিধা হয়ে গেছে। চালের দাম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাইড়া গেছে। আমরা চলতে পারি না। তিনশ-চারশ টাকা কামাই করি আমগরে দিন যায় না। খুব কষ্ট ওইয়া যায়। চালের দাম ৩-৪ টাকা কেজিতে বাড়তি।’
শেরপুরের বাজারে ২৯ ধানের চালের বস্তা বিক্রি হতো ২ হাজার ৭০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। নাজির চালের বস্তা আগে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। স্বর্ণা চালের বস্তা আগে বিক্রি হতো ২ হাজার ৩০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪২০ টাকা।
রঞ্জিত চালের বস্তা আগে বিক্রি হতো ২ হাজার ৪৮০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৭ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা, রঞ্জিত চাল ৪৮ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা। ২৯ চাল প্রতি কেজি আগে ৫২ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাজির চাল প্রতি কেজি আগে ৬৪ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)