সোমবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ছাত্রশিবিরের ঢাবি সভাপতি কে এই সাদিক?

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই সামনে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যমত সমন্বয়কও ছিলেন। হঠাৎ করে প্রকাশ্যে আসা কে এই সাদিক কয়েম সেটি জানার চেষ্টা করছেন নেটিজেনরা।

জানা গেছে, সাদিক কায়েম ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। মেধাবী এই তরুণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফলাফলে নিজ বিভাগের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন। স্নাতকে তার সিজিপিএ ছিল ৩ দশমিক ৭৮। তবে স্নাতকোত্তরে সাদিক কায়েমের সিজিপিএ কত ছিল সেটি জানা সম্ভব হয়নি।

ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে কামিল পাশ করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এদিকে হঠাৎ করে সাদিক কায়েমের এভাবে প্রকাশ্যে আসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা ভাসছেন সাদিক কায়েম। নাজমুল হাসান রাসেল নামে একজন লিখেছেন, ‘‘ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হচ্ছে, তা আমাদের ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চব্বিশের শহীদদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমরা নতুন ছাত্ররাজনীতির জন্য একতাবদ্ধ হতে চাই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মতপার্থক্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা সকলেই এই পথে এগিয়ে যেতে পারি।’’

আলমগীর হোসেন লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের জন্য সবকিছুকে যেন আরো সহজ করে দিন। আমার মনে হয়, এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কোন সভাপতি সংগঠনের পদবি ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আবারো আলহামদুলিল্লাহ।’’

এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দেন তিনি।

ফেসবুকের ওই পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা। ফ্যাসিবাদ ছাড়া সকল বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি নাই, শুধু ফ্যাসিবাদই আছে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি এসব রাজনীতি না। এগুলি ফ্যাসিবাদ।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ষোল বছরের ভয়ংকর দিনগুলো কিংবা তারও পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সমস্ত ভুল ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন সচেতনতা। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, “এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’’।

আমরা জানি এই স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট এবং দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কোন রাজনীতিই না। আমরা চাই সেই রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে। ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোন হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি।

গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি। এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আমরা সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে গড়তে হলে দল-মত নির্বিশেষে জাতিকেবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিনের বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত মতামত’ : প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব

জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন

ভারতের গণমাধ্যম সত্য বলায় বিশ্বাসী না, সেখানে মিথ্যা চলে ভালো : প্রেস সচিব

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতা, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ হবে- এটাই আমাদের ফোকাসবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনা ফিরলে দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়, জায়গা হবে জেলে: উপদেষ্টা ফরিদা
  • পোষ্য কোটা বাদ, প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ
  • হাসিনা, আসাদ—এরপর কে?
  • ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির তিন সংগঠনের স্মারকলিপি
  • সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে যা বললেন বিএনপি নেতারা
  • ঢাকা-দিল্লির বরফ গলতে পারে বিক্রম মিশ্রির সফরে
  • প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ
  • ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ৫ মামলা বাতিলই থাকছে
  • বাংলাদেশি রোগী না থাকায় বিপাকে কলকাতার হাসপাতালগুলো
  • ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা বিএনপি নেতাকর্মীদের
  • বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবিনারা দেশের গর্ব : সেনাপ্রধান