প্রধানমন্ত্রী রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্স ভবন’-এর উদ্বোধন করেছেন। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি। রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এসে রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা দূর করেছি। ২০১০ সালে আমরা রংপুর বিভাগ করে দেই। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে এ রংপুর। এক সময় খাবারের অভাবে মরতেন। মানুষ দেখলে মনে হতো জীবন্ত কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা আমার নিজের চোখে দেখা। আল্লাহর রহমতে এখন আর ওই অবস্থা নেই। আমরা সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দুর্ভিক্ষ তো দূর হয়েছেই, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘রংপুরে গত ১৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এর আগে কখনও হয়নি। দীর্ঘ সময় তো রংপুরের লোকই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু রংপুরের মানুষের তেমন কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অথচ আমরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কর্মসূচি রংপুর বিভাগ দিয়েই শুরু করেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সব উন্নয়ন নির্ভর করে সরকারের চিন্তার ওপর। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার পথকে অনুসরণ করে মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা মানুষও খাদ্যাভাবে থাকবে না। ভূমিহীন থাকবে না। রংপুরে ভূমিহীন বেশি ছিল। আমরা তাদের জমিসহ ঘর দিয়েছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, সারাদেশের কোথাও যেন ভূমিহীন না থাকে। প্রয়োজনে আমরা জমি কিনে ঘর করে দেবো। এতে আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, যার ফলে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বৃদ্ধি হয়েছে। আপনারা জানেন, ড. ওয়াজেদ সাহেব ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন তিনি। আজকে আমরা সেই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। ২০২৪ সালের মধ্যে আশা করি, সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবো। এ থেকে উত্তরবঙ্গই সবচেয়ে লাভবান হবে। আমরা চাই, দেশটা আরও উন্নত হবে, এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বক্তৃতা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)