শনিবার, মে ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য ৩/৪ মাসই যথেষ্ট

ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আপগ্রেড চায় বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে ‘বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আপগ্রেড’ চায় বিএনপি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আসলে সত্যিকার অর্থে অনেস্টলি সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই… তাহলে কিন্তু আমরা বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আমরা কম্পিউটার এআই… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে… সেটা অ্যাবসুলেটলি একুয়রেট হবে।’

‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ি বাড়ি যাওয়া এটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, অপ্রয়োজনীয় এবং এটাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যিনি মারা গেছেন তার নামটা অটোমেটিক্যালি বাদ চলে যাবে…। এ বিষয় (ভোটার তালিকা) আমরা সংস্কার প্রস্তাবে স্পষ্ট করেছে, এটা আপগ্রেড হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান বিগত সরকারের আমলে আরপিও’র সংশোধনে যে সম্পূরক আদেশ এনেছিল, তা বাতিল, নির্বাচনী পরিচালনায় কিছু বিধিমালা সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা আপগ্রেড করা, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যমের নির্বাচনি আচরণ বিধিমালাসহ ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এ সংস্কার প্রস্তাবগুলো তারা সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকারভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ডামি প্রতিনিধি না, ভুয়া প্রতিনিধি না সেজন্য আমাদের এ সংস্কার প্রস্তাব।’

‘প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে কুক্ষিগত করতে বিগত সরকার অনেক কিছু করেছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা যাতে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে সেজন্য আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণীত বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।’

সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য ৩/৪ মাসই যথেষ্ট

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা যেসব প্রস্তাব করেছি এগুলো প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয় নেই যেটা নতুন করে কোনো কিছু করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি, নির্বাচনের সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি। আমরা প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন, সংস্কার… এগুলোর জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না।’

‘একটা নির্বাচনের বেসিক কাজ ভোটার তালিকা প্রণয়ন… সেই ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়া….আমরা এটা বুঝি নেই কী এক্সারসাইজ হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে যে, তালিকা ঘোষণার সময়ে এটাও ঘোষণা করা হয় যে, কারো নাম যুক্ত না হলে তাহলে তারা স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন, কারো অভিযোগ থাকে যে, বেঁচে নেই, বিভিন্ন কারণে ভোটার হওয়া যায় না- এরকম কারো নাম তালিকায় থাকলে তা কার্যালয়ে গিয়ে জানালেই তো ভোটার তালিকা হয়ে গেলো…এরপর নির্বাচনি প্রস্তুতি… শিডিউল ঘোষণা করা, রুল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করবে। এসব কিছু করতে এত বেশি সময় লাগার কথা না। আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে খুব বেশি বিলম্ব হওয়ার প্রয়োজন হয় না।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি দলের পক্ষ থেকে সুচিন্তিতভাবে, এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছি… অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি….। আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলেছি, সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়… প্রাকটিক্যালি যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয়, যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন…নতুন ভোটার সংযোজন… কী কী ভুলভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার স্ক্রুটনি করা, তারপরে নির্বাচন কাজ অফিসার নিয়োগ, ডিলিমিটেশন ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে প্রাকটিক্যালি ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।

সরকারের আরও সংস্কার প্রশাসনিক সংস্কার, জুডিসিয়াল সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার আছে এগুলো সব সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের মনে হয় না খুব বেশি হলে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে। সব রিকমন্ডেশন ফাইনাল হওয়ার পরে আপনারা ধারণা পাবেন প্রাকটিক্যালি আমাদের কয়দিন সময় লাগবে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন অনুষ্ঠানের জন্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকার ইনপ্রেইস আছে বা হবে … এটাই ছিল সবচাইতে বড় বাধা একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন না হওয়ার।

ডিলিমিটেশন, অপকর্মে জড়িতদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা এসব হচ্ছে উপসর্গ। আসল রোগ হচ্ছে, কেয়ারটেকার সরকার না থাকাটা। কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল হলে এ সব উপসর্গ আর থাকবে না। কেয়ারটেকার সরকার হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধ্য।’

যারা অপকর্মে যুক্ত ছিল তাদের বাদ দিতে হবে
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব যেটা করেছি, সেটা হলো যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি যাতে তারা আগামীতে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় না থাকে সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার, জবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

টানা তিন দিন ধরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখের রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচিবিস্তারিত পড়ুন

আকাশেই খুলে পড়ে বিমানের চাকা, নিরাপদে অবতরণে প্রশংসায় ক্যাপ্টেন

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের পেছনের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটিবিস্তারিত পড়ুন

তথ্য উপদেষ্টার অনুরোধের পর ছাড়া পেলেন বোতল ছুড়ে মারা সেই শিক্ষার্থী

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপকারীবিস্তারিত পড়ুন

  • জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে: ডা. শফিকুর
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ: নজরুল ইসলাম খান
  • কয়েক মাসে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া, শ্রম বাজার খুলতে ৩ শর্ত
  • প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল
  • গণমাধ্যমের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করছে না: ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে মাহফুজ
  • সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হবে শিগগিরই : প্রেস সচিব
  • ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে: ফয়েজ আহমদ
  • ‘জোবাইদা রহমানকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছিল’ : খোকন
  • সম্পদের তথ্য গোপন মামলায় জোবাইদা রহমানের জামিন
  • ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে ৭ সিদ্ধান্ত
  • ফেসবুক-ইউটিউবসহ আ. লীগের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি