মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইসরাইল ও পশ্চিমারা দায়ী: তুরস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব এবং ইসরাইলের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই মন্তব্য করেছেন।
ফিদান বলেন, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে গাজার পরিস্থিতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। বরং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
তুরস্ক সফররত মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরির সঙ্গে ইস্তানবুলে বৈঠক করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে ইরান এবং ইসরাইলে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইরানে ইসরাইলের ড্রোন হামলা ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল উত্তেজনার মাঝে শনিবার তুরস্ক সফর করছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার ইরানের ইসফাহান শহরে ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলার দায় ইসরাইল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শৌকরি বলেন, চলমান উত্তেজনা ঘিরে এই অঞ্চলে উদ্বেগ রয়েছে। আমরা একেবারে শুরু থেকে সংঘাতের বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা উভয়পক্ষকে (ইরান ও ইসরাইল) সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছি।’
ফিদান বলেন, এই সত্য থেকে আমাদের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিতে পারে এমন যেকোনো ঘটনাকে উপেক্ষা করা উচিত। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হতে হবে।
তুরস্কের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় আরও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে শৌকরি বলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির তুরস্ক সফরের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ ও প্রস্তুতির বিষয়ে তুরস্কের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই মিসর সফর করবে।
সূত্র: আল-আরাবিয়া ও রয়টার্স।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)