শ্যামনগরের চন্ডিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের তনুশ্রী ও গ্রাম ডাক্তার ফখরুলের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ বিক্রির অভিযোগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি তনুশ্রী রপ্তান এর বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ বাজারে বিক্রি, চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে দুর ব্যাবহার ও হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
একটানা একই স্থানে ৯বছর চাকুরি করায় এবং একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করছেন না তিনি। ফলে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন সম্প্রতি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন।
গঠিত কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বুধবার সরেজমিনে তদন্তে যাবেন বলে জানান কমিটির সদস্য ডা. জয়ন্ত সরকার।
গত ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে জেলার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের জিএম লিয়াকত হোসেনের ছেলে এম রফিকুল ইসলাম গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা বরাবর জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়, শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মিলে চন্ডিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে দীর্ঘ ৯বছর সিএইচসিপি পদে চাকুরি করছেন উপজেলার কামালকাটি গ্রামের পলাশ মন্ডলের স্ত্রী তনুশ্রী রপ্তান। একই স্থানের বাসিন্দা গ্রাম ডাক্তার ফকরুলের পিতা উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানের সময় জমি দাতা হওয়ায় তনুশ্রী রপ্তানের সাথে গ্রাম ডাক্তার ফখরুলের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ক্লিনিকের যাবতীয় সরকারি ওষুধ এলাকার সাধারণ মানুষকে না দিয়ে বঞ্চিত করে উক্ত গ্রাম ডাক্তারের মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়াও সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করা, সরকারি ওষুধ না দেয়া, সময় মত অফিসে না আসা, যদিও আসে তো নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করার অভিযোগ আছে। এছাড়াও সিএইচসিপি তনুশ্রী রপ্তানের স্বামী পলাশ মন্ডল এলাকার কথক বখাটেদের নিয়ে উক্ত স্থান ও ক্লিনিকে অবস্থান করায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ নানা কটুক্তির স্বীকার হন। এরপরও এলাকাবাসী উক্ত ক্লিনিকে আসলে ওষুধ নাই, কাল আসেন বা আর যাতে না আসে সেসব চিন্তা করেই নানা ধরণের অজুহাত খাড়া করেন। ফলে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিকারের দাবীতে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জমা দেন। উক্ত অভিযোগ পেয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত কর্তৃক দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এমওডিসি গোলাম মোস্তফা ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার। এব্যাপারে ডা. জয়ন্ত সরকার সেল ফোনে জানান, গঠিত কমিটি চলতি সপ্তাহের বুধবার সরেজমিনে তদন্তের লক্ষ্যে এলাকায় যাবেন। অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এলাকাবাসী সার্বিক বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানিয়েছেন। তা না হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এসব বিষয়ে সেল ফোনে সিএইচসিপি তনুশ্রী রপ্তানের সাথে ০১৯২৯ ৬৫২৫৯৫ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়ে রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)