সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাংবাদিক আনিস-সুভাষকে অনুসরণ করতে নতুন প্রজন্মের আহ্বান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাঁচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সাংবাদিকতায় অবিস্মরণীয় আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুইজনই মফস্বল সাংবাদিকতায় থেকেও জাতীয় পর্যায়ে স্থান করে নেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সমাজ প্রকৌশলী হিসেবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাদেরকে অনুকরণ ও অনুসরণের জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনেন‘অনন্য আনিস ও সুবাসিত সুভাষ’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিক আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরীর সুহৃদদের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি ওমর ফারুক ও কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, প্রয়াত আনিসুর রহিমের স্ত্রী অধ্যক্ষ ড. দিলারা বেগম, প্রয়াত সুভাষ চৌধুরীর স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিনতি চৌধুরী, সংস্কৃতি কর্মী পুলক রাহা, একাত্তর টিভির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি ও সাতক্ষীরার সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মফস্বল সাংবাদিকদের জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতির জন্য শুভ সূচনা হলো। কারণ সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে উপকূলীয় সাংবাদিকতায় তারা ছিলেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের নিয়ে এ আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সমস্যা-সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন সাংবাদিকরা। সাতক্ষীরার সাংবাদিক অধ্যাপক আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরী সেই ভূমিকা রেখেছেন। তাদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের শিক্ষা নিতে হবে। অবহেলিত প্রত্যন্ত জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে দিতে সাংবাদিকদের লেখনি জোরদার করতে হবে।

সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক বলেন, সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় কোনো দল নেই। জাতীয় পত্রিকা বলে কিছু নেই। জাতীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। কেননা ‘সাংবাদিকতায় জাতীয়তা’ বলে কিছু নেই। সাতক্ষীরা উপকূলীয় জেলা হলেও এ অঞ্চলের অনেক ইস্যু আন্তর্জাতিক। এখানে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ সারাদেশকে নাড়া দেয়। স্থানীয় সাংবাদিকরাই সেই রিপোর্ট করে থাকেন। সাংবাদিক আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরীও সেটাই করেছেন। তাদের সততা নীতি ও আদর্শ আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয়। তারা নীতি ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে প্রকাশ ঘটাতে হবে। আগামী নির্বাচনেকে সামনে রেখে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামীতে সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসলে সাতক্ষীরা কেন, সারাদেশেই টিকে থাকা কঠিন হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শ্যামল দত্ত বলেন, প্রায়ত এই দুই বন্ধু সাতক্ষীরায় আধুনিক সাংবাদিকতার নবধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তারা ছিলেন সৃজনশীল ব্যক্তি, নিরহংকার ও নির্লোভ মানুষ ও সমাজ সংস্কারক। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তারা সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরেও শিক্ষাবিদ, শিশু সংগঠক, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষ ও নাগরিক সমাজের নেতা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন। সমাজকে আলোকিত করতে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্র তাদেরকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্মরণসভার শুরুতে আনিসুর রহিম ও সুভাষ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দুজনের ওপর নির্মিত একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘সুবাসিত সুভাষ ও অনন্য আনিস’ দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আনিসুর রহিম গত ৩ জানুয়ারি স্বজনদের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সাতক্ষীরা চিত্রের সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সাহসী সাংবাকিতার কারণে কয়েক বার হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ভূমিহীন ও নাগরিক আন্দোলনে আজীবন সক্রিয় ছিলেন তিনি।

সাতক্ষীরার ডায়েরিখ্যাত সুভাষ চৌধুরী ৩৬ বছর ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি সাংবাদিকতায় ছিলেন পথিকৃৎ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতার কারণে ১৯৮৮ সালে কারাভোগ করেন সুভাষ চৌধুরী। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় স্বর্ণের বারসহ আটক ১

সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত এলাকা থেকে দুটি স্বর্ণের বারসহ তজিবুর রহমান নামের একবিস্তারিত পড়ুন

একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক স্কুল সচেতনাতামূলক সভা

একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক স্কুল সচেতনাতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কমিটি ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভাবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার মডেল মসজিদ: উদ্বোধন হয়েছে আড়াই বছর আগে, ‘অসম্পন্ন’ এখনো; ছাগল-কুকুরের বিচরণ!
  • কলারোয়ায় বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • কদমতলা বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে আইয়ুব সভাপতি, রফিকুল সম্পাদক
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন
  • সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর আয়োজনে ও আবু সাঈদ এর অর্থায়নে টিউবওয়েল প্রদান
  • সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি, সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন
  • কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত সভাপতি হাবিবুর – সম্পাদক – মিজানুর
  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি, ইমদাদুল সম্পাদক
  • সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন
  • সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা
  • সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা, প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদান