শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় কন‍্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় আরিফা

কখনো সুদিন আসিনি আরিফা’র জীবনে। কন্যা সন্তানে পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চার বছরের কন্যা ও স্বামীর ছবি হতে নিয়ে দারে দারে ঘুরছেন সাতক্ষীরার আরিফা খাতুন (২৩) নামের এক নারী। আরিফা খাতুনের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা লক্ষীদাঁড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ফজলু দফাদার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের দারস্থ হন আরিফা খাতুন। এসময় আরিফা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে সদরের গাংনিয়া সুড়িঘাটা গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলাম এর ছেলে সাইফুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কিছুদিন যেতেই তিনি বুঝতে পারেন স্বামী সাইফুদ্দিন শারিরীক ভাবে অক্ষম। স্বামী শারীরিক অক্ষম হওয়ায় তিনি বাবার বাড়ি ভোমরা লক্ষীদাঁড়ীতে ফিরে যায়। কয়েক দিন পর শশুর মোঃ জিয়ারুল ইসলাম আরিফার বাবার বাড়িতে গিয়ে তার ছোট ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সাথে পুনরায় বিয়ে দিবে বলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন আরিফাকে।

সেই থেকে আরিফার সাথে দেবর শরিফুলের পরিবারের সবার সম্মতিতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ-সম্পর্কের জেরে এক বছর পর শরিফুলের ঔরসে আরিফার কোলজুড়ে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। এখন সেই কন্যা সন্তানের বয়স চার বছর।

বড় ভাই সাইফুদ্দিন এর স্ত্রী হলেও শশুর শাশুড়ির চাপে দেবর শরিফুলের সাথে স্বামী স্ত্রী’র মত সংসার করতে থাকেন আরিফা খাতুন। এতো দিন সব কিছুই চলছিল ঠিকঠাক হঠাৎ দেবর শরিফুল অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে দেখা দেয় বিপত্তি। এসময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে দেবর শরিফুলকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়ে আরিফাকে কন্যা সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। এমনি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আরিফা খাতুন।

পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দেই আরিফা। এসময় এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন আমার শশুরকে চাপ দিলে শশুর আমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা জর্জ আদালতে নিয়ে প্রথম স্বামী সাইফুদ্দিন এর সাথে ছাড়াছাড়ি করান। সেইদিনই আদালত চত্বরে নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে ৭০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে তার ছোট ছেলে শরিফুলের সাথে বিয়ে দেন। এই বিয়ের পর মনে করেছিলাম হয়তো আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারবো।

কিন্তু বিয়ের পর আমাকে বাড়িতে একদিন রেখে পরদিন চার বছরের মেয়েসহ আমাকে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। সেই থেকে আমি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। এনিয়ে সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

অভিযোগ করে আরিফা খাতুন আরো বলেন, বাবার অভাবের সংসারে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে আমার বিয়ে হয়। সে সময় আমার বয়স ছিল ১৪-১৫ বছর, কিছুই বুঝতামনা। এখন গরীব বাবার বাড়িতে অসহায়াতার মাঝে দিন কাটাচ্ছি। এখন স্ত্রী’র মর্যাদা ও কন্যা সন্তানের পিতৃত্বে দাবিতে দারে দারে ঘুরছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমেরবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে অবহিতকরণ সভা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পেশাজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের মান উন্নয়নের প্রকল্পের অবহিতকরণ সভাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মাহাবুব, সম্পাদক নাসির

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির দ্বি-বার্ষিকবিস্তারিত পড়ুন

  • ঔষধ ব্যবসায়ীদের চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
  • সাতক্ষীরায় তরূণদের জন্য হিউম্যান লাইব্রেরি বিষয়ক আলোচনা সভা
  • সাতক্ষীরা শহরের রহমতপুর ক‌লোনী‌তে বারসিকের স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প
  • সাতক্ষীরায় দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মাহাবুব, সম্পাদক নাসির
  • একেকটি দূর্যোগে ফসলি জমিতে বাড়ছে লবনাক্ততা: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা
  • সাতক্ষীরায় সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে এডভোকেসি সভা
  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা বিষয়ক পরামর্শ সভা
  • সাতক্ষীরার কুমিরায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ শুরু
  • প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সাতক্ষীরায় আগমন
  • প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সাথে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত
  • সাতক্ষীরার ডিসিকে স্মারকলিপি দিলো নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি
  • সাতক্ষীরায় সচেতন নারী সমাজের মানববন্ধন