বুধবার, নভেম্বর ১২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আন্দোলনের মুখে অপসারিত হলো সাতক্ষীরা জজ কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মধ্যকার প্রাচীর

অবশেষে আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, নাগরিক সমাজ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে অপসারিত হলো জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার কালেক্টরেট চত্বরের আংশিক প্রাচীর।

সোমবার দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিউল আযমসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রাচীর অপসারণ করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২) জানান, ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক (জুডিশিয়াল সেপারেশন) করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তৎকালিন আইনমন্ত্রী মোঃ কামরুল ইসলাম জুডিশিয়াল আদালতের ১০ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারিক আদালতের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের আংশিক অপসারণ করে সেখানে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার যোগাযাগকারি করিডর নির্মাণের ব্যাপারে সাতক্ষীরাবাসিকে আশ্বস্ত করেন।

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এম শাহ আলম জানান, জুডিশিয়াল কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার পর কালেক্টরেট চত্বরের জজ কোর্ট থেকে জুডিশিয়াল কোর্টে আসার জন্য প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, বিচারপ্রার্থী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের।

এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরের ডবল প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারণ করে যাতায়াতের জন্য সেখানে করিডর নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য তার নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি কয়েকবার মানববন্ধন কর্মসুচিসহ বিভিন্নর কর্মসুচি পালন করে। আইনমন্ত্রণালয়, গর্ণপুর্ত বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়ে তারা চিঠি লিখেছেন।

বিষয়টি তিনটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার হওয়ায় তাদের আন্দোলন সফলতা পাচ্ছিল না। সর্বপরি চলতি বছরের ২ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতি ও জেলা নাগরিক কমিটির যৌথ ব্যানারে জজ কোর্টের সামনে কালীগঞ্জ- সাতক্ষীরা সড়কে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। এ কর্মসুচিতে ১৭ মার্চের মধ্যে কালেক্টররেট চত্বরের প্রাচীর অপসারিত করে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করা না হলে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এমনকি ২২মার্চের মধ্যে সাতক্ষীরাবাসীকে নিয়ে প্রাচীর অপসারণ করে যাতায়াতের রাস্তা উন্মুক্ত করার কর্মসুচিও ঘোষণা করা হয়। তার সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, বর্তমান সভাপতি এড. আবুল হোসেন(২), সাধারণ সম্পাদক এড. রেজোয়ান উদ দৌলা সবুজ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, সুনাম কমিটির জেলা শাখার আহবায়ক এড. সোমনাথ ব্যাণার্জী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. ওসমান গনি, মুক্তিযোদ্বা এড. ইউনুস আলী, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা শাখার সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, বাসদের এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, জাসদের সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, গণফোরামের আলী নূর খান বাবুল, এড. তামিম আহমেদ সোহাগ, এড. সায়েদুজ্জামান সায়েদ প্রমুখ।

এড.এম শাহ আলম আরো বলেন, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট আন্তরিক হন জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুল ইসলাম। একপর্যায়ে তারই আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরাবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন সফল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর ১২টায় কালেক্টরেট চত্বরের অংশ বিশেষ অপসারণ করে করিডর নির্মাণের কাজ প্রশস্ত হয়।

কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুল ইসলাম বলেন, বিচারপ্রার্থী আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তিনি কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রণালয়, গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে পৌঁছায়।

তারই অনুমোদন সাপেক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৫ জুন তিনি হাতে পান। ওই চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রাচীর অপসারণের কাজ শুরু করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, করিডোর স্থাপনের ফলে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে। তাতে যাতায়াতে সুবিধা হবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। যাহা ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

চাঁ*দাবাজির মামলায় সাতক্ষীরার ফিংড়ির আনার গ্রে*প্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার (৬০)কেবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জরুরী সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে হোটেলেবিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতায় সন্তোষ প্রকাশ সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রহ্মরাজপুরবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরার ভালুকা চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমন্বয় সভা
  • সাতক্ষীরায় খেলাধুলার মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে শিশু-কিশোরদের জীবনধারা
  • সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে নারী প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ৫ পদে জামায়াতের ও দুটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর জয়
  • বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন
  • কলারোয়ায় সিসিডিবি’র আয়োজনে যুবদের ব্যবসার ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ
  • কলারোয়ায় অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভীন বকুলকে ফুলেল শুভেচছা
  • সাতক্ষীরা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ’র গণসংযোগ
  • এডাব সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন : সভাপতি আনিছুর রহমান-সম্পাদক শামসুজোহা
  • সাতক্ষীরা-৩ আসনে ডাঃ শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেয়ার দাবীতে টানা বিক্ষোভ
  • সাতক্ষীরা-৩ আসনে ডা. শহিদুলকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • জলাবদ্ধতা কেড়ে নেয় হাজারো শিশুর রঙিন স্বপ্ন