আশাশুনিতে তাণ্ডবের ঘটনায় ১৪ জনের জামিন, তিনজন জেল হাজতে
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাসকারি দু’ নারীর বাড়িতে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও গ্রামবাসিদের বর্বোরচিত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের মামলায় ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর ও তিন জনের জামিন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার এজাহারভুক্ত ১৭জন আসামী সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৮ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে বিচারক ইয়াসমিন নাহার উভয়পক্ষের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের শাহজাহান সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ, একই গ্রামের আনছারের ছেলে চুঁতে ওরফে মোস্তফা ও ছাদেক সরদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,ঘরের চালে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে শুক্রবার ভোরে তেতুলিয়া হামিইউছুনুর কওমি মাদ্রাসার নজরান বিভাগের ছাত্র নজরুলকে ডেকে নিয়ে আটক করার পর তার শরীরে আলকাতরা মাখানোর অভিযোগে কোহিনুর ও তার মেয়ে রোজিনার বাড়ি, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পোল্ট্রি ফার্মে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় একই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ি রুবেলের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মন তেতুলিয়া, মিত্র তেতুলিয়া, তেতুলিয়া, ফকরাবাদ, ও মোকামখালি থেকে আসা প্রায় পাঁচ’শ জামায়াত কর্মী সমর্থক ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা হাতে চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, দা, শাবল, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ‘নারয় তকবির , আল্লাহ হু আকবর’ স্লোগান দিতে দিতে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুৃপুর ১২টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালায়। হামলায় ওই দু’ পরিবারের ছয়জনসহ ১০জন আহত হন। লুটপাট করা হয় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ দু’ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। ভাঙচুর করা হয় চার লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র। পুলিশ হামলা বন্ধ করতে গেলে তাদেরকেও ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা। আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ হাসাপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। আবারো হামলার আশঙ্কায় নির্যাততদের রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। কোহিনুর বেগম এখনো সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় তেতুলিয়া গ্রামের আবু হাসানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদি হয়ে ১৭জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাতনামা ২২ জনের বিরুদ্ধে শনিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বলেন, জামিন না’মঞ্জুর হওয়া তিন আসামীকে সোমাবার বিকেলে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ১৪ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)