আশাশুনিতে শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণের সমাপনী
আশাশুনিতে চলমান জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এর সমাপনী দিনে কার্যক্রম পরিদর্শন ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার অজিৎ কুমার সরকার।
রবিবার বিকালে আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
২০২৩ সালের নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫দিনের প্রশিক্ষণ শুরু করা হয় গত ৬ জানুয়ারি। প্রতিদিন সকাল নয় টা থেকে বিকাল সাড়ে চার টা পর্যন্ত (দুপুরে বিরতিসহ) এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হচ্ছে। উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রসার ৫৮৬ জন শিক্ষককে এ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ৫৮০ জন অংশ নিয়েছেন। ১১টি সাবজেক্ট এর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২৮ জন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার শেষ দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসার অজিৎ কুমার সরকার সমাপনী দিনে প্রত্যেক কক্ষে গমন করে প্রশিক্ষণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে মূলবান দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্ত্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, ভেন্যু প্রধান প্রধান শিক্ষক আশরাফুন নাহার নার্গিস, কোর্স পরিচালনক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, কো-অর্ডিনেটর উপজেলা একাডেমীক সুপার ভাইজার হাসানুজ্জামান, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বুলবুল প্রমুখ তার সাথে ছিলেন ও আলোচনা রাখেন৷
স্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়েও ১২ বছর নকানি চুপানিতে ভূমিহীন পরিবার
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সরকারি ভাবে রেজিঃ বন্দোবস্ত পাওয়া ভ‚মিহীন পরিবার প্রতিপক্ষের দ্বারা নাকানি চুপানি খেয়ে চরম বিপাকে রয়েছে। জবর দখলকারীদের হাত থেকে জমি উদ্ধারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও নানা টালবাহনায় এখনো জমিতে যেতে পারেনি পরিবারটি। শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের রফিকুল গাজীর ছেলে ভুক্তভোগী ভ‚মিহীন আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী সাফিনা আক্তার, ৭৯২/২০০৯-১০ নং বন্দোবস্ত মামলায় ২৬/১০/২০১০ তাং ৩৩৩৫ নং রেজিঃ কবুলিয়াত দলিলের মাধ্যমে গাজীপুর মৌজায় জেএল ১১৬, এসএ- ১, ৩৮৫/৩৮৬ দাগে ৫০ শতক জমি বন্দোবস্ত পেয়েছিলেন। এরপর ভূমি অফিসের ৭১৬/(রী-ও)/২০১১-১২ নং নামপত্তন কেসের মাধ্যমে ৩০৯ নং খারিজ খতিয়ানে নিজেদের নামে রেকর্ড প্রাপ্ত হন। কিন্তু তাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। বঞ্চিত পরিবারটি জানান, অবৈধ দখলদার মহিষকুড় গ্রামের হৃদয় গাইনের ছেলে দিলিপ কুমার গাইন বিভিন্ন সময় তহশীলদার ও স্থানীয় মাস্তান বাহিনীর সাহায্য নিয়ে জমিতে তাদেরকে উঠতে দেয়নি। ফলে ২০১০ সাল থেকে জমির দখল পেতে বিভিন্ন অফিস ও নেতাকর্মীদের কাছে ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। গত বছর ৮ ফেব্রæয়ারি সম্পত্তির দখল পেতে অবৈধ দখলদার দিলীপ কুমার গাইনকে বিবাদী করে বঞ্চিত পরিবারটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি বরাবর লিখিত আবেদন করেন। ঐদিনই ৩৭৮ নং স্মারকে ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ৮ মাস অতিক্রান্ত হলেও কিছুই করা হয়নি। বাধ্য হয়ে বঞ্চিত ভ‚মিহীন পরিবার এসিল্যাÐ সাহেবের কাছে গেলে তিনি তহশীলদারকে বিষয়টি স্থানীয় আমীন দ্বারা মাপজোক করে মিটমাট করে দেওয়ার আদেশ দেন। এবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এলাকার আমিন জমি মাপজোক করে খুটি গেড়ে দেন। গত ১৩ ডিসেম্বর তহশীলদার স্থানীয় আ’লীগ নেতা, জন প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বর আমিনকে নিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর সকালে ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গন্যমান্য ব্যক্তি ও উভয় পক্ষের সামনে আমিনের দেখানো সীমানা চিহ্নিত করে দেন। এরপর স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভ‚মিহীন পরিবার দখল বুঝে পেয়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করেন। কিন্তু অবৈধ দখলকারীরা আবারও অহেতুক আবদারের মুখে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন তহশীলদার। এনিয়ে এলাকার মানুষের মনে বিরূপ প্রত্রিক্রিয়া ও বঞ্চিত ভূমিহীনদের মাঝে চরম বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হয়েছে। এরপর তহশীলদার অবৈধ দখলকারীদেরকে জমির মাছ ধরে নেওয়ার জন্য সময় বেধে দেন। কিন্তু না মাছ ধরার নামে সময় ক্ষেপন করতে থাকলে আবার বঞ্চিতরা তহশীলদারের কাছে গেলে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাছ ধরে জমি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সময় বেধে দেন। নির্দ্ধারিত সময়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত মালিক গতকাল (রবিবার) জমিতে জন মজুর নিয়ে সীমানা বাধ দিতে শুরু করেন। দুপুর নাগাদ বাধের কাজ শেষ হয় এবং তহশীলদার ও সকলের উপস্থিতিতে চিহ্নিত করা সীমানায় বাধ দিয়ে নিজের দখল অটুট করেন। এসময় থানা পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছে বিজ্ঞ আদালতে পি-৭৫/২০২৩ (আশাঃ) ধারা ১৪৫ ফৌঃকাঃবিঃ মামলার আলোকে এএসআই নজরুল ইসলাম নোটিশ প্রদান করেন। এবং উভয় পক্ষকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে বলেন। বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিক পক্ষ দীর্ঘদিন পর জমির দখল বুঝে পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং অহেতুক হয়রানি হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)