আশাশুনিতে হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনিতে হারানো চেকে টাকা বসিয়ে হয়রানি করার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেক এর মালিক নুরুজ্জামান মোড়ল। রবিবার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আশাশুনি সদরের মৃত কওছার আলী মোড়লের পুত্র মোঃ নূরুজ্জামান মোড়ল সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন-আশাশুনি বাজারে মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ নামে আমার একটি জুতার দোকান আছে। ব্যবসার প্রয়োজনে আশাশুনি গ্রামের মৃত গফুর সরদারের স্ত্রী ফজিলা খাতুন এর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে তার জামানত সরূপ আমার মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ এর নামীয় সোনালী ব্যাংক লি. আশাশুনি শাখার ২৮০১৯৩০০০০৭২ নং হিসাবের গছ/১০ ৮২৪৯২৬১ হতে গছ/৮২৪৯২৭০ সিরিজের মধ্যের চেকের ১টি পৃষ্ঠা তার কাছে জমা রাখি। এর কিছুদিন পরে ফজিলা খাতুন আমাকে বলে আমার সেই চেকের পাতাটি গত ১৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সে হারিয়ে ফেলেছে। যার স্বাক্ষী রয়েছে আশাশুনি গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের পুত্র আলী হোসেন ও মোহাম্মাদ সরদার। এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল ২০২৪ আশাশুনি থানায় ১১৫৮ নং একটি সাধারণ ডায়েরী দাখিল করেছি। ইতোমধ্যে উক্ত হারিয়ে যাওয়া চেকের পাতাটি আশাশুনির কোন এক ব্যক্তি পায় এবং উক্ত চেকের পাতাটি সদরের হোটেল মালিক মোঃ আব্দুল আলিমের কাছে দেয়। এর আগে মোঃ আব্দুল আলিমের নিকট থেকে আমার যে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ধার নেওয়া ছিল তার সম্পূর্ণ টাকা তাকে পরিশোধ করে দেওয়ার পরও সে আমাকে ক্ষতি করার পাঁয়তারা করছিল। তার জেরে সে সোনালী ব্যাংক লি. এর ম্যানেজার নরেশ কুমার মন্ডল ও সেকেন্ড ম্যানেজার মোঃ রাজিব উল্লাহকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে আমার হারিয়ে যাওয়া চেকটিতে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বসিয়ে চেকটি ডিজওনার করে নিয়েছে। চেকটি হারিয়ে যাওয়ার পর আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমার দরখাস্তটা আমলে নেয়নি বরং ব্যবস্থাপক নরেশ কুমার মন্ডলের যোগসাজসে আব্দুল আলিম হারিয়ে যাওয়া আমার চেকটি ডিজওনার করে নিয়েছে। যে কারনে আমি ক্ষতির আশংকা প্রকাশ করছি। তাই আমি যাতে সম্ভাব্য ক্ষতি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পারি তার জন্য সোনালী ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচারের আবেদন করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)