আসামে মাদরাসা বন্ধে বিজেপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক
ভারতে বিজেপিশাসিত আসামে সরকারি মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামছে ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’। ওই ইস্যুতে সংগঠনটি আগামী ২০ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার আসাম ভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে এই কথা জানান।তিনি বলেন, মাদরাসাকে আবার বিতর্কের মুখে নিয়ে এসেছে বিজেপিশাসিত আসাম সরকার। তারা ঘোষণা করেছেন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অনুমোদিত মাদরাসাগুলোকে বন্ধ করে দেবেন। বিজেপির এ ধরণের সাম্প্রদায়িক খেলা একের পর এক চলছে।
তাদের জানা দরকার যে, আমাদের দেশের সংবিধানের ৩০ ধারায় যেকোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং যারা ভাষাগত সংখ্যালঘু তাদেরও নিজেস্ব সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য সংবিধান নিজেদের পছন্দমত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ার স্বাধীনতা দিয়েছে।
এক্ষেত্রে স্পষ্ট বলা আছে যে, সরকার কোনোভাবেই বেসরকারি বা সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করতে পারবে না।
তারপরেও বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে মুসলিম বিদ্বেষকে আরও বিস্তার ঘটানোর জন্য একেরপর এক তারা এভাবে সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করার জন্য বঞ্চিত করার জন্য,
অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব জঘন্য অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা লড়াইয়ের ডাক দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এই লড়াই সংগ্রাম ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত বিজেপি বা যেকোনো রাজনৈতিকদল তারা সংবিধান মোতাবেক দেশের সংখ্যালঘু মানুষের স্বাধীনতা সুরক্ষিত ও সুনিশ্চিত না করবে।ওই দাবিতেই আমরা আগামী ২০ অক্টোবর কোলকাতায় যে ‘অসম ভবন’ আছে, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সেই ‘অসম ভবন’ ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে। আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সারা দেশের সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই অধিকারকে আমরা সুরক্ষিত করব- এটাই আমাদের প্রচেষ্টা।আসলে উন্নয়নের কোনও এজেন্ডা না থাকার কারণে বিজেপি বর্তমানে একের পর এক সাম্প্রদায়িক ইস্যু সামনে আনতে চাচ্ছে। ফলে দেশবাসী বিজেপিকে উপেক্ষা করছে।
সেজন্য নতুন কোনও ইস্যু না খুঁজে পেয়ে এবার তারা মাদরসা বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস, নিশ্চয় তারা ওই বিষয়ে সফল হবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)