মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ার হাট-বাজারে রূপালী ইলিশ এখন রূপ কথার গল্প

যার নাম শুনলে বাঙালীর জিভে পানি এসে যায়। সাধারণ মানুষের এখন তা চোখে দেখা পাওয়া দুস্কর। আর আজকের প্রজন্মের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা তা চিনে না বললেও ভুল হবে না। হ্যাঁ বলছিলাম বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ মাছের কথা। আজকের শিশুর কাছে রুপালী ইলিশ রুপ কথায় পরিণত হতে চলেছে।

ষাট ও সত্তরের দশকে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষে কলারোয়ার গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে রুপালী ইলিশ আসা শুরু হয়ে যেত। আর বর্ষাকাল থেকে শরৎকালের শেষ অবধি মাঠঘাট নালা ডোবায় পাওয়া মলাঢেলা, কই, শিং, মাগুর, চ্যাং, বেতল, শোল, ট্যাংরা, বাইন সহ নানা প্রকার মাছে গ্রামের মানুষের বাড়ি ভরে থাকত। বাড়তি মাছ পাওয়ার কারণে পুটি আর চিংড়ির শুটকি তৈরি করা হত।

বাড়িতে এসব মাছ থাকার পরেও রসনা বিলাসী বাঙালী বাড়ি রুপালী ইলিশ ছাড়া চলে কি। গ্রামের হাট বাজার গুলো ভরে যেত ইলিশে। হাটের দিনে বাড়ি বাড়ি আনা হত রুপালী ইলিশ। প্রতি হাটের দিন সন্ধার পরে ইলিশের মনোলোভা সুগন্ধে পাড়া মহলাগুলো সুবাসিত হয়ে পড়ত। আর সকালে ভাজা ইলিশ নয়, পান্তা ভাতের সংগে ইলিশের ঝোলে জমে উঠত খাওয়ার আনান্দ। আর অনেক পরিবারে পরদিন ঝোলের ইলিশ মাছ আগুনে শুকিয়ে সেই ইলিশ দিয়ে মজাদার সব তরকারী রান্না খাওয়া হত। আর দুই আড়াই কেজি ইলিশের তেলের মজা ছিল আলাদা। তখন কলারোয়ার পর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদে মাঝে মাঝে কৃষক আর জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ত। তাই প্রায় আশ্বিন মাসের শেষ অবধি গ্রামের বাঙালী পরিবারে চলত ইলিশ খাওয়ার ধুম। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগে এসে গ্রামের হাট বাজারে ইলিশে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে।

২০০০ সালের পরে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ দূস্প্রাপ্য হয়ে উঠে। একদিকে মূল্য বৃদ্ধি; অন্যদিকে দুস্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। এখন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বছরে ১/২ দিনের বেশী ইলিশের দেখা মেলে না। কিছু চাকরীজীবি আর গ্রামের ৫/১০ জন ধনাঢ্য পরিবার এর ক্রেতা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। ফলে আজকের প্রজন্মের বেশীর ভাগ শিশু ইলিশ মাছ চিনে না। কোন দিন ইলিশ মাছ দেখেনি। মজাদার সুস্বাদু ইলিশ তাদের কাছে রুপকথার গল্প।

জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির খবর প্রচারে মানুষের মনে আবার আশা জাগে। কিন্তু শাকদা গ্রামের ৮০ বছরে প্রবীণ ইসলাম, দাড়কির ৭০ বছরের বৃদ্ধ শওকাত, সোনাবাড়িয়ার আজিজ (৭৯) আবার লোভাতুর হয়ে পড়ে মজাদার পান্তা ইলিশ, ভাজা ইলিশ, ইলিশ পোলাও খাওয়ার আশায়। কিন্তু ইলিশের দাম কমেনি। সেই সংগে দুস্প্রাপ্যতা প্রকট। ইলিশ পেতে হলে শহরে যেতে হয়। তাই প্রবীণ মানুষগুলোর ইলিশ খাওয়া দূরাশায় পরিণত হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে ট্যাক্সফোর্সের অভিযান

কলারোয়ায় টাস্কফোর্স এর অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার ধানদিয়ায় ৮ দলীয় ফুলবল টুর্নামেন্টে সরসকাটি চ্যাম্পিয়ন

কে এম আনিছুর রহমান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধানদিয়া রয়েল যুব সংঘেরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা

কলারোয়ায় কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন)বিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় নব্বই দশকের ছাত্রনেতাদের মিলনমেলার প্রস্তুতিমূলক সভা
  • কলারোয়ার ধানদিয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে ফাইনাল খেলায় সরসকাটি জয়ী
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে স্বাগতিকদের সাথে ড্র আটুলিয়ার
  • কলারোয়ায় অনুষ্ঠিত হলো উৎসবমুখর রথযাত্রা উৎসব
  • কলারোয়ায় বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ করলেন সাবেক মেয়র আক্তারুল
  • কলারোয়ায় শহর প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ভা*রতীয় মালামাল জব্দ
  • কলারোয়া পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
  • কলারোয়া পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
  • কলারোয়ার কাজিরহাটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ বিএনপি নেতা গাজী আক্তারুলের
  • কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ঘোনাকে হারিয়ে স্বাগতিকদের জয়