বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ার হাট-বাজারে রূপালী ইলিশ এখন রূপ কথার গল্প

যার নাম শুনলে বাঙালীর জিভে পানি এসে যায়। সাধারণ মানুষের এখন তা চোখে দেখা পাওয়া দুস্কর। আর আজকের প্রজন্মের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা তা চিনে না বললেও ভুল হবে না। হ্যাঁ বলছিলাম বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ মাছের কথা। আজকের শিশুর কাছে রুপালী ইলিশ রুপ কথায় পরিণত হতে চলেছে।

ষাট ও সত্তরের দশকে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষে কলারোয়ার গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে রুপালী ইলিশ আসা শুরু হয়ে যেত। আর বর্ষাকাল থেকে শরৎকালের শেষ অবধি মাঠঘাট নালা ডোবায় পাওয়া মলাঢেলা, কই, শিং, মাগুর, চ্যাং, বেতল, শোল, ট্যাংরা, বাইন সহ নানা প্রকার মাছে গ্রামের মানুষের বাড়ি ভরে থাকত। বাড়তি মাছ পাওয়ার কারণে পুটি আর চিংড়ির শুটকি তৈরি করা হত।

বাড়িতে এসব মাছ থাকার পরেও রসনা বিলাসী বাঙালী বাড়ি রুপালী ইলিশ ছাড়া চলে কি। গ্রামের হাট বাজার গুলো ভরে যেত ইলিশে। হাটের দিনে বাড়ি বাড়ি আনা হত রুপালী ইলিশ। প্রতি হাটের দিন সন্ধার পরে ইলিশের মনোলোভা সুগন্ধে পাড়া মহলাগুলো সুবাসিত হয়ে পড়ত। আর সকালে ভাজা ইলিশ নয়, পান্তা ভাতের সংগে ইলিশের ঝোলে জমে উঠত খাওয়ার আনান্দ। আর অনেক পরিবারে পরদিন ঝোলের ইলিশ মাছ আগুনে শুকিয়ে সেই ইলিশ দিয়ে মজাদার সব তরকারী রান্না খাওয়া হত। আর দুই আড়াই কেজি ইলিশের তেলের মজা ছিল আলাদা। তখন কলারোয়ার পর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদে মাঝে মাঝে কৃষক আর জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ত। তাই প্রায় আশ্বিন মাসের শেষ অবধি গ্রামের বাঙালী পরিবারে চলত ইলিশ খাওয়ার ধুম। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগে এসে গ্রামের হাট বাজারে ইলিশে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে।

২০০০ সালের পরে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ দূস্প্রাপ্য হয়ে উঠে। একদিকে মূল্য বৃদ্ধি; অন্যদিকে দুস্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। এখন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বছরে ১/২ দিনের বেশী ইলিশের দেখা মেলে না। কিছু চাকরীজীবি আর গ্রামের ৫/১০ জন ধনাঢ্য পরিবার এর ক্রেতা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। ফলে আজকের প্রজন্মের বেশীর ভাগ শিশু ইলিশ মাছ চিনে না। কোন দিন ইলিশ মাছ দেখেনি। মজাদার সুস্বাদু ইলিশ তাদের কাছে রুপকথার গল্প।

জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির খবর প্রচারে মানুষের মনে আবার আশা জাগে। কিন্তু শাকদা গ্রামের ৮০ বছরে প্রবীণ ইসলাম, দাড়কির ৭০ বছরের বৃদ্ধ শওকাত, সোনাবাড়িয়ার আজিজ (৭৯) আবার লোভাতুর হয়ে পড়ে মজাদার পান্তা ইলিশ, ভাজা ইলিশ, ইলিশ পোলাও খাওয়ার আশায়। কিন্তু ইলিশের দাম কমেনি। সেই সংগে দুস্প্রাপ্যতা প্রকট। ইলিশ পেতে হলে শহরে যেতে হয়। তাই প্রবীণ মানুষগুলোর ইলিশ খাওয়া দূরাশায় পরিণত হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

নিজস্বপ্রতিনিধি : ” জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়,সেরা হবো বিশ্বময়” এই শ্লোগানকে সামনে রেখেবিস্তারিত পড়ুন

শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজে উৎসব মূখর পরিবেশে পিঠা উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি : শীত মানেই যেন নতুন ধানের চাল গুঁড়ার দাদি- নানিরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পিতা!

মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পিতা। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা ও দারিদ্রতার কারণে মেয়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার জয়নগরে যুবদলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরা জেলা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভা
  • কলারোয়ার খোর্দ্দ-বাটরায় যুবদলের কর্মী সমাবেশ
  • কলারোয়ায় কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের মাসিক সভা
  • কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে যুবদলের কর্মী সমাবেশ
  • কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম আর নেই, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
  • শহীদ জিয়া দেশের মানুষের জন্য বাতিঘর : সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ড. খান মোঃ মিজানুল ইসলাম সেলিমকে সংবর্ধনা
  • কলারোয়া টি-২০ ক্রিকেট টূর্ণামেন্টে সালিফ রামিনা ক্রীড়া ফাউন্ডেশন ফাইনালে
  • কলারোয়ার মির্জাপুরে যুবদলের কর্মী সভা
  • কলারোয়ায় বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলীর ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলে শোক
  • কলারোয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ