রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ার হাট-বাজারে রূপালী ইলিশ এখন রূপ কথার গল্প

যার নাম শুনলে বাঙালীর জিভে পানি এসে যায়। সাধারণ মানুষের এখন তা চোখে দেখা পাওয়া দুস্কর। আর আজকের প্রজন্মের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা তা চিনে না বললেও ভুল হবে না। হ্যাঁ বলছিলাম বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ মাছের কথা। আজকের শিশুর কাছে রুপালী ইলিশ রুপ কথায় পরিণত হতে চলেছে।

ষাট ও সত্তরের দশকে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষে কলারোয়ার গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে রুপালী ইলিশ আসা শুরু হয়ে যেত। আর বর্ষাকাল থেকে শরৎকালের শেষ অবধি মাঠঘাট নালা ডোবায় পাওয়া মলাঢেলা, কই, শিং, মাগুর, চ্যাং, বেতল, শোল, ট্যাংরা, বাইন সহ নানা প্রকার মাছে গ্রামের মানুষের বাড়ি ভরে থাকত। বাড়তি মাছ পাওয়ার কারণে পুটি আর চিংড়ির শুটকি তৈরি করা হত।

বাড়িতে এসব মাছ থাকার পরেও রসনা বিলাসী বাঙালী বাড়ি রুপালী ইলিশ ছাড়া চলে কি। গ্রামের হাট বাজার গুলো ভরে যেত ইলিশে। হাটের দিনে বাড়ি বাড়ি আনা হত রুপালী ইলিশ। প্রতি হাটের দিন সন্ধার পরে ইলিশের মনোলোভা সুগন্ধে পাড়া মহলাগুলো সুবাসিত হয়ে পড়ত। আর সকালে ভাজা ইলিশ নয়, পান্তা ভাতের সংগে ইলিশের ঝোলে জমে উঠত খাওয়ার আনান্দ। আর অনেক পরিবারে পরদিন ঝোলের ইলিশ মাছ আগুনে শুকিয়ে সেই ইলিশ দিয়ে মজাদার সব তরকারী রান্না খাওয়া হত। আর দুই আড়াই কেজি ইলিশের তেলের মজা ছিল আলাদা। তখন কলারোয়ার পর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদে মাঝে মাঝে কৃষক আর জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ত। তাই প্রায় আশ্বিন মাসের শেষ অবধি গ্রামের বাঙালী পরিবারে চলত ইলিশ খাওয়ার ধুম। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগে এসে গ্রামের হাট বাজারে ইলিশে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে।

২০০০ সালের পরে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ দূস্প্রাপ্য হয়ে উঠে। একদিকে মূল্য বৃদ্ধি; অন্যদিকে দুস্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। এখন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বছরে ১/২ দিনের বেশী ইলিশের দেখা মেলে না। কিছু চাকরীজীবি আর গ্রামের ৫/১০ জন ধনাঢ্য পরিবার এর ক্রেতা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। ফলে আজকের প্রজন্মের বেশীর ভাগ শিশু ইলিশ মাছ চিনে না। কোন দিন ইলিশ মাছ দেখেনি। মজাদার সুস্বাদু ইলিশ তাদের কাছে রুপকথার গল্প।

জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির খবর প্রচারে মানুষের মনে আবার আশা জাগে। কিন্তু শাকদা গ্রামের ৮০ বছরে প্রবীণ ইসলাম, দাড়কির ৭০ বছরের বৃদ্ধ শওকাত, সোনাবাড়িয়ার আজিজ (৭৯) আবার লোভাতুর হয়ে পড়ে মজাদার পান্তা ইলিশ, ভাজা ইলিশ, ইলিশ পোলাও খাওয়ার আশায়। কিন্তু ইলিশের দাম কমেনি। সেই সংগে দুস্প্রাপ্যতা প্রকট। ইলিশ পেতে হলে শহরে যেতে হয়। তাই প্রবীণ মানুষগুলোর ইলিশ খাওয়া দূরাশায় পরিণত হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়া ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতারবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ১ ডজন সিদ্ধান্ত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও স্বচ্ছ রাখতে গুরুত্বপূর্ণবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউটের ইফতার ২৯ রমজান, প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট এর ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান আগামি ২৯ রমজান অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • ‘কোন মানুষ যেন হয়রানি না হয়’ : কলারোয়ায় সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ার বামনখালিতে জামায়াতের ইফতার মাহফিল
  • আগামি নিবার্চনে ধানের শীষে ভোট দিবেন : কলারোয়ায় সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় সাংবাদিক শেখ জিল্লুর মায়ের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার
  • কলারোয়া নিউজ ও আওয়ার নিউজের আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন, ইফতার মাহফিল
  • সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক আটক
  • কলারোয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে রমজান, যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার
  • সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে কলারোয়ার বাচ্চু ও গালিব
  • কলারোয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
  • কলারোয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধীর ডুবন্ত লাশ উদ্ধার
  • কলারোয়ায় ইফতার মাহফিলে সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর দিনক্ষণ গুনছে সাংবাদিক আব্দুল হামিদ