কলারোয়ায় খেঁচুড়ি বিতরণের বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় খেচুড়ী বিতরণকে কেন্দ্র করে জমে থাকা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায়।
নিহত আব্দুল মান্নান (৩৬) কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী বকস’র ছেলে।
ওই ঘটনায় বাবু ও রবিউল নামের আরো দুই যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসি জানায়, ‘গত শনিবার (২১ আগস্ট) স্থানীয় আ.লীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুল শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন শেষে ওই এলাকার লোকজন খেচুড়ী ভোজের আয়োজন করে। খেচুড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে আব্দুল মান্নান ও ওই গ্রামের মজিবরের ছেলে হানিফের সাথে কথাকাটাকাটির জের ধরে উভয়ের মধ্যে সামান্য কিল চড় থাপ্পড় মারামারি হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের উভয়কে ডেকে হাতেহাত দিয়ে মিমাংসা করে দেন। তারপরেও হানিফের রাগ কমেনি।
এরই জের ধরে রোববার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মিটমাট করে দিবে বলে আব্দুল মান্নাকে বাড়ি থেকে সন্ধ্যার পর ডাকে স্থানীয় ইউপি মেম্বর প্রার্থী কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুর শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান। পরে দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় তারা বসে। সেসময় উভয়ের মধ্যে আবারো কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হানিফ উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মান্নানকে ক্ষুর দিয়ে পেটে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। ঠেকাতে গিয়ে হযরত সানার ছেলে বাবু ও রবিউল নামে দুই ব্যক্তি আহত হন।
তাৎক্ষনিকবাবে গুরুতর আহত অবস্থায় মান্নানকে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।’
নিহত আব্দুল মান্নানের পিতা আলী বকস জানান, ‘২১ তারিখে গন্ডগোল হয়েছিল। আজ মিটমাট করার কথা বলে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মুজিবরের ছেলে হানিফ ক্ষুর দিয়ে আমার ছেলের ভুড়ি বের করে দিয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় লোকজনের সহয়োগিতায় কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে মারা গেছে।’
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)