কলারোয়ায় হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে নির্মাণাধীন পাঁকা রাস্তার পিচ! (ভিডিও)
হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে নির্মাণাধীন পাঁকা রাস্তার পিচ! দৃশ্যটি কলারোয়া থেকে সরষকাটি বাজার অভিমুখে সড়কটিতে। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের সামনে ও কলাগাছি মোড়ে ওই রাস্তায় হাত দিয়ে টান দিয়েই রাস্তা থেকে পিচ উঠে যেতে দেখা গেছে। উঠে যাওয়া পিচের নিচে ইটের ম্যাকাডমে মাটির আস্তরণ পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্মাণাধীন এই রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা দেখালেন হাতের টানেই উঠে যাওয়া সড়কের পিচের দৃশ্যটি।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের সুরে জানান, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। সড়কে পিচঢালাই দেওয়ার আগে ব্রাশ বা কোদাল দিয়ে সড়ক ভালোভাবে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। দায়সারা কাজ করছেন ঠিকাদার। এতে সহযোগিতা করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা।’
খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, ‘কলারোয়া সদর থেকে সরষকাটি অভিমুখে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় সড়কের প্যাকেজ নির্মাণকাজ চলছে। কার্পেটিং কাজটি চলছে ৯০ লাখ টাকার। এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘সড়কের দেওয়া কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে হাতের টানে। রাস্তা পরিষ্কার না করে কাদামাটির ওপর দেওয়া হচ্ছে পিচ। এ কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সওজ বিভাগের কোনো জবাবদিহি নেই। স্থানীয়দের দেওয়া খবরে কলারোয়া সদরের টিএনটি কার্যালয়ের সামনে ও কলাগাছি মোড়ে গেলে দেখা যায় সড়কের পিচগুলো রুটির মতো উঠে যাচ্ছে। নির্মাণাধীন সড়কে ঠিকাদার বা সওজ বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি সওজের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
সড়কটির নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধান করছেন সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম। সড়কে নির্মাণকাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে সংবাদকর্মীরা একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দীন আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘কলারোয়া সদর থেকে বসন্তপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ৯০ লাখ টাকার কার্পেটিং সিলকোটের কাজ চলছে। মূলত সড়কটি চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)