কেশবপুরের মঙ্গলকোটে কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে


যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজার হতে গোলাঘাটা ব্রিজ ভায়া মঙ্গলকোট আকুঞ্জি পাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি আজও পাকাকরণ হয়নি। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবী জানালেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক মঙ্গলকোট, বিদ্যানন্দকাটি, মজিদপুর, সফরাবাজ, আলতাপোলসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। একটু বর্ষা হলে কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে কোন ভ্যান, সাইকেল, মোটর সাইকেলতো দূরের কথা মানুষ পর্যন্ত ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী, রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে।
অন্যদিকে মূমুর্ষ রোগী বহন করতে বেগ পেতে হবেনা। শ্রমজীবি মানুষেরা ভ্যান, অটো-রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতে পারবে। এলাকার কৃষকরা ধান, পাট, কাঁচা ফসল কম খরচে বাজারে নিয়ে যেতে পারবে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহির রায়হান জানান, এ ইউনিয়নের একই গ্রামের মধ্যে মঙ্গলকোট বাজার ভায়া গোলাঘাটা ব্রিজ ৭ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার রাস্তাটি সবচেয়ে দীর্ঘতম। তার মধ্যে ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার কার্পেটিং, ১ কিলোমিটার ইটের হেয়ারিং, ০.৫ কিলোমিটার ইটের সোলিং এবং বাকী প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এলাকার জনগণ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। কেশবপুরের এমপি জেলা আওয়ামীলীগের সধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার আমাদের অভিভাবক। তিনি এলাকাবাসীর দাবিটা পূরণ করবেন বলে বিশ্বাস করেন।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান গাজী জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে রাস্তাটি পাকাকরণের প্রয়োজন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এনামুল কাদির জানান, কাঁচা রাস্তাটির খুব খারাপ অবস্থা। বর্ষা মৌসূমে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের গোলাঘাটা হাইস্কুল, গোলাঘাটা মাদ্রাসায়, মঙ্গলকোট প্রাইমারী ও হাইস্কুল, কেশবপুর কলেজে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। মানুষ হাট-বাজারে যেতে পারেনা। কোন মুমূর্ষ রোগি কেশবপুর হাসপাতালে নেওয়ার উপায় থাকেনা। এলাকার লোক জনের বিপদ আপদ হলে বর্ষার সময় কোন এ্যাম্বুলেন্স যেতে পারবে না। ফলে যোগাযোগের অভাবে রোগী মারাও যায়।
ভ্যান চালক হারুন মোড়ল জানান, আমর মত ২০ থেকে ২৫ জন ভ্যান, করিমন, আলমসাধু চালক আছে। মঙ্গলকোট বাজার থেকে গোলাঘাটা হয়ে মঙ্গলকোট ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত পাকা থাকলে তারা কিছু উপার্জন করে সংসার চালাতে পারতো।
মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন অসুস্থতার কথা জানালে সচিব মোকলেছুর রহমান জানান, ওই রাস্তাটি বড় প্রজেক্ট ছিল। সেই কারণে প্রয়াত এমপি ইসমাত আরা সাদেক এর নিকট পাকাকরণের জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী জানান, ওই রাস্তাটি পাকাকরণের একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
