কেশবপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিক্ষক আহত
যশোরের কেশবপুরে বুড়িহাটী বিলের একটি কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকার প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসার শিক্ষক আলী আজগর এর উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
আহত শিক্ষককে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।
জানা গেছে, কেশবপুরের বুড়িহাটী বিলের একটি কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধের প্রতিবাদ করায় ঘেরের লোকদের হামলায় বুড়িহাটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষককের পা ভেঙ্গে দেয় ও ওই বিলের ফসলের ক্ষতির শিকার আলী আজগর (৫৩) এর উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। বিলে যেয়ে শিক্ষক আলী আজগর এর উপর হামলা চালিয়ে বুড়িহাটি গ্রামের মাহাবুর রহমান মল্লিক, আজিজুর রহমান দফাদার,ও তার ছেলে আবু তাহের দফাদার, আবু শাহিন মল্লিক শিক্ষকের আহত করাসহ তার বাম পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে দিয়েছে। গত ৯ আগষ্ট স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমানসহ ভুক্তভোগী শতাধিক কৃষকরা কেশবপুর উপজেলা নির্বহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ১১আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ওই শিক্ষক বিলে গেলে ঘটনাটি ঘটে।
আহত শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই উপজেলার শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামর আমজাদ হোসেন মাছের ঘের করে এলাকার কৃষকদের ভোগান্তি সৃষ্টি করে আসছেন। গত কয়েদিন ধরে ভারি বৃষ্টি হওয়ার ফলে বুড়িহাটি উত্তর বিলে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের পথ কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে বন্ধ করে দেযার কারনে পাশের ৪ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। যার ফলে উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের খেজুরকান্দি বিল, বুড়িহাটি বিল, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বারুইহাটি বিল, ঝিকরা বিল, মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর পাত্রপাড়া বিলসহ কয়েকটি গ্রামের বিলে আমন আবাদ ব্যহত হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্ততি চলছে বলে আহত শিক্ষক জানান। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ কর্মরত ডাক্তার শিক্ষকের বা পা ভেঙ্গে গেছে বলে জানান।
অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, আমরা শিক্ষককে মারপিট করিনি। গোবরে সিলিপ করে গর্তে পড়ে তার পা পড়ে ভেঙ্গে গেছে। শিক্ষকের লোকজন চেযারম্যান জুলমাত আলীর উপর চড়াও হয়ে উঠে।
হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুলমাত আলী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম, সেখানে একটি গোলযোগ হয়। শিক্ষকের লোকজন আমার উপর চড়াও হয়ে উঠেছিল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)