ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: কালিগঞ্জে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ঘেরমালিক সহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
কালিগঞ্জে কাঁকশিয়ালী, কালিন্দী, ইছামতি, গোয়াল ঘেষিয়া সহ বিভিন্ন নদীর পানি বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। যার কারণে সুপেয় খাওয়ার পানিসহ বিভিন্ন সমস্যার তৈরি হয়েছে।
ইয়াসের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হাড়দ্দহা এলাকার ইছামতির বাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়। কোটি কোটি টাকার চিংড়িঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
তবে স্থানীয়রা বাঁধ নির্মাণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা জানিয়েছেন, তারা ত্রাণ চান না, তারা চান টেকসই বেড়িবাঁধ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ভাঙন কবলিত হাড়দ্দহা এলাকায় সরেজমিনে গেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ—সভাপতি সাঈদ মেহেদী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমরা বাঁধ নির্মাণের জন্য আমাদের কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪০ দিনের কর্মসূচির যাবতীয় লোকদের এখানে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু জনৈক চেয়ারম্যানের বাবা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়ায় এই এলাকা ডুবে গেলে এই বিল মিজান চেয়ারম্যানের বাপ নিয়ে নিবে। এ কারণে তিনি এখানে কোনো লোক দেননি।’
সাঈদ মেহেদী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে এই চেয়ারম্যানের বরখাস্ত দাবি করছি। এই এলাকা প্লাবিত হওয়ার জন্য এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানই দায়ী। আমরা সকাল থেকে আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, আমাদের পানি উন্নয়ন অফিসারসহ এলাকার সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে কাজ করছি। কিন্তু এই চেয়ারম্যান ঐ বিলের ধনাঢ্য ব্যক্তি, সে কালকে ঘোষণা দিয়েছে বিল বুড়লে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প আসবে আর তাতে সে লাভ করবে। তাই তার অপসরণ দাবি জানাচ্ছি। আর যারা এখানে কাজ করছে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এসময় তিনি দ্রুত সরকারিভাবে নতুন করে বাঁধ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করেন।
এদিকে, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খাঁন জানান, ‘সরকারিভাবে উপজেলায় ৫ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ হয়েছে। খুব দ্রুত অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আমাদের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা রয়েছে যেটার বিতরণ চলমান।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)