তালার আসাননগর প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে দুনর্ীতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চেষ্টার
অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আসাননগর গ্রামের মৃত চতুর রায়ের ছেলে গিরীশ চন্দ্র রায় এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া যুগান্তকারি পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ১ জানুয়ারী শুক্রবার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়। কিন্তুু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় আমি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হওয়া সত্বেও বই বিতরণ
অনুষ্ঠানে আমাকে না ডেকে আসাননগর গুচ্ছগ্রাম জামে মসজিদের সীল মেরে সমুদয় বই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করে ধর্মীয়
অনুভুতিতে চরমভাবে আঘাত করেছেন। মসজিদের সীল মেরে বই বিতরণ করার পর গ্রামের লোকজন ও অভিবাবকরা আমার কাছে এসে বিষয়টি সম্র্পকে জানতে
চাইলে আমি অবাক হই।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি
কিছু না বলে চলে যান। প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডের বিষয়টি মোবাইলে উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষকে জানালে পরদিন ২ জানুয়ারী শনিবার উপজেলা সহকারি
শিক্ষা কর্মকতার্ আলমগীর হোসেন ও ওবায়েদুল্লাহিল আসলাম আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে শতাধিক গ্রামবাসী ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিষয়টি তদন্ত করেন।
গিরীশ চন্দ্র রায় বলেন, সরেজমিনে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে ক্ষুব্ধ
গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা চলে যান। এঘটনার পর থেকে আমরা সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আতংকে আছি। তিনি সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি ও দুর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এঘটনায় প্রতিকার দাবি করে তালা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মহাপরিচালক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর
ঢাকা বরাবর পৃথক অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপেন্দ্রনাথ মন্ডল,গৌতম সরকার, সম্পদন
মন্ডল, লক্ষন রায়, বিক্রম মন্ডল, জয়দ্রত মন্ডল ও সুকান্ত ঢালী প্রমুখ।
তালা উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ হিন্দু শিক্ষার্থী। বিষয়টি
নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তেজনা ছিল। আমার তদন্তকালে বলেছি রিপোর্ট দেয়ার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। একথায় অভিভাবক ও
গ্রামবাসীরা আশ্বস্থ হয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)