সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

তুচ্ছ ঘটনায় কলারোয়ায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক-২

তুচ্ছ ঘটনায় পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গোলাম কুদ্দুস (৪৭) ওরফে বোম্বে কুদ্দুস নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে আহত করলে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মঙ্গলবার (২১জুলাই) সকালে অবস্থার অবনতি হলে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।

নিহত কুদ্দুস উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী ফকিরপাড়ার মৃত জোহরআলী হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় মামলা (নং-২০) হয়েছে।

গোলাম কুদ্দুসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, হিজলদি গ্রামের মৌসুমি খাতুন ও মনিরুল ইসলাম মনির (ইউপি চেয়ারম্যান মনি নয়, আরেক মনি যাকে স্থানীয়রা ফকির মনি নামে চেনেন) সাথে আগে থেকেই গোলাম কুদ্দুসের পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গোলাম কুদ্দুসকে লাঠি দিয়ে পেটায় প্রতিপক্ষরা। পরে আরো একদফা পেটায় ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার দীলিপ দাস ও অশোক দাস। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আহত হন গোলাম কুদ্দুস। তাকে বাড়িতেই রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিং শেষে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনিকে ওই ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী ফিরোজা জানান, তার স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী কবীরের স্ত্রী রাজিয়া ওরফে মৌসুমী আমার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনিকে ফোন করলে তিনি তার পরিষদের দুই চৌকিদার অশোক ও দীলিপকে আমাদের বাড়ীতে পাঠান। এ সময় মানসিক ভারসাম্যহীন আমার স্বামী আমাকে মারপিট করাকালে উপস্থিত দুই চৌকিদারের একজনের শরীরে আঘাত লাগলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার স্বামীকে নির্দয়ভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। শুধু তাই নয় পুলিশে দেবার ভয় দেখিয়ে চৌকিদাররা পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে, ভয়ে আমি তাদেরকে দুই হাজার টাকা দেই। এ সময় তারা জোর পূর্বক সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

তিনি আরো বলেন, স্বামীকে সাতক্ষীরায় ডা. ধীরাজ মোহনের নিকটে নিয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসি। রবিবার আবারো অসুস্থ্য বোধ করলে স্থানীয় কবিরুল ডাক্তারের ক্লিনিকে ভর্তি করি কিন্তু মঙ্গলবার গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে গোলাম কুদ্দুসকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বিকেলে কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার রাজ কিশোর পাল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে থানায় ডেকে নেয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানা থেকে চলে আসার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানা গেছে।

নিহতের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী রাজিয়া বেগম তার দেবর মনি ফকিরের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। বিয়ে করা ছাড়াই তারা এক সঙ্গে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে আমার বাবা ওই নারীকে বলতো- ‘তোমরা আর পাপ কাজ করো না।’ এ নিয়ে ওই নারী বিরক্ত হয়ে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে শুক্রবার (১৭ জুলাই) ইউনিয়নের চৌকিদার দিলিপ ও অশোক বাড়িতে এসে লাঠি দিয়ে বাবাকে বেধড়ক মারধর করেন। আজ সকালে অবস্থা খুব খারাপ হলে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাবা মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমার মা ফিরোজা বেগম কলারোয়া থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তার ছোট ভাই জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, মনিরুল ভাই থানায় আছেন। কুদ্দুসকে তার নির্দেশে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বলেন, এ ঘটনায় চৌকিদারদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তবে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে তাদের পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে চেয়ারম্যানকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। তবে তাকে আটক করা হয়নি।

মামলা থেকে চেয়ারম্যানের নাম বাদ দেয়া হচ্ছে কিনা- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কারও নাম বাদও দিচ্ছি না আবার কারও নাম সংযুক্তও করছি না।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে গৃহবধূ মৌসুমি খাতুন ও তার দেবর মনিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ধানের পর কলারোয়ায় এবার পাট দিয়ে তৈরি হলো দুর্গা প্রতিমা

জাহাঙ্গীর হোসেন: ধান দিয়ে তৈরির পর এবার পাট দিয়ে দুর্গা প্রতিমা প্রস্তুতবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবির জহুরুল হক হলের নবনির্বাচিত ভিপিকে কলারোয়া আলিয়া মাদরাসায় সংবর্ধনা

জাহাঙ্গীর হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুলবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

কামরুল হাসান।। কলারোয়া প্রেসক্লাবে উপজেলার ছলিমপুর গ্রামের মৃত গফুর মোড়লের ছেলে আবুলবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার চন্দনপুরে যুব জামায়াতের সমাবেশে ইজ্জত উল্লাহ
  • শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সাবেক এমপি হাবিবের
  • কলারোয়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা
  • সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ
  • কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর আছে, চলাচলের রাস্তা নেই, নেই কবরস্থানও
  • জামায়াতে ইসলামির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে: ইজ্জত উল্লাহ
  • মানুষের কাছের মানুষ কলারোয়ার মানবিক ইউএনও জহুরুল ইসলাম
  • কলারোয়ায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
  • কলারোয়ায় কৃষি ব্যাংকের তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গ্রাহক সমাবেশ
  • বেত্রবতী হাইস্কুলে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
  • কলারোয়ার নবাগত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষকরা