দেশের সবচেয়ে ছোট আকৃতির মসজিদের সন্ধান
এবার দেশের সবচেয়ে ছোট আকৃতির মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটির মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকায় অবস্থিত।
সিলেটের ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সুফি সাধক হজরত শাহ্ কাজী খন্দকার (রহ.)-এর মাজারের পূর্ব পাশেই এ মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ২০০ বছরের পুরোনো।
গোলাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের রয়েছে মাত্র একটি কক্ষ। একই সঙ্গে চার কোনায় চারটি পিলারের ওপর গাঢ় লাল রঙের ছোট আকৃতির রয়েছে আরও চারটি গম্বুজ। দৃষ্টিনন্দন বারান্দার ওপরে একই আকৃতির দুটি গম্বুজ শোভা পাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মোগল আমলের চুন, সুরকি ও ইটের গাঁথুনিতে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এটি আবার ‘গায়েবি মসজিদ’ হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত। দেখতে খুবই সাধারণ হলেও শৈল্পিক কারুকার্যে নির্মিত এ মসজিদে ইমামসহ একসঙ্গে পাঁচজন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর মসজিদের ভেতর দিকের জায়গার পরিমাণ মাত্র ছয় ফুট।
জানা যায়, একাধিকবার এ মসজিদের সংস্কারকাজ করা হলেও এর সৌন্দর্য কোনোভাবেই ব্যাহত হয়নি।
হজরত শাহ্ কাজী খন্দকার (রহ.)-এর মাজার মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, এখন আর আগের মতো এ মসজিদে নামাজ পড়া হয় না। এই গায়েবি মসজিদে দূর-দূরান্ত থেকে মানত নিয়ে আসা অনেককে নফল নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় এ এলাকাটি পাহাড় বেষ্টিত গভীর বন-জঙ্গলে ঢাকা ছিল। সে সময় এ এলাকায় জমিদারি প্রথা চালু ছিল। একপর্যায়ে এসে সেই জমিদারি প্রথা বিলুপ্তি হয়। তখন এ অঞ্চলের লোকজন পাহাড়-জঙ্গল পরিষ্কার করে আবাদি জমি বের করতে গিয়েই মাটির নিচে এ মসজিদের সন্ধান পান।
তারা আরও জানান, মসজিদটি কবে কখন নির্মিত হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য তাদের জানা নেই। বাপ-দাদার আমল থেকেই তারা শুনে আসছেন এটি ২০০ বছরের পুরোনো। তবে অনেকের ধারণা, মধ্যযুগের স্থাপনা এ মসজিদ।
তবে কথিত আছে, হজরত শাহজালালের সফরসঙ্গী হজরত শাহ্ কাজী খন্দকার (রহ.) এ মসজিদ নির্মাণের অনেক পর এখানে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। ওনার ইন্তেকালের পর মসজিদের পশ্চিম পাশে তাকে কবর দেয়া হয়। এরপর গড়ে ওঠে আরেকটি মসজিদ।
মাজার কমিটির সভাপতি ছালেক আহমদ ছোট আকৃতির এ মসজিদটিকে সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান। আর রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান খান মসজিদ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)