দেশে সাড়ে ৭ হাজার নারী এইডস আক্রান্ত


লাদেশে ১৯৮৯ সালে এইচআইভি ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ৭ হাজার ৩৭৪ জন নারী এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪২ জন। শুধু ২০১৯ সালেই মারা গেছেন ১৭০ জন। এছাড়া ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১০৫ জন এইচআইভি পজিটিভ রয়েছেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশে ‘এইডস’ এর বর্তমান পরিস্থিতি, যৌনকর্মীদের সাথে এর সম্পর্ক এবং এইডস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসী সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ‘ড্রপ ইন সেন্টার’ (ডিআইসি) টাঙ্গাইল ইউনিট এ সভার আয়োজন করে।
সভায় আরোও জানানো হয়, টাঙ্গাইল সদরের যৌনপল্লী ও মধুপুর বন এলাকায় বিপুল সংখ্যক নারী এটার সাথে জড়িত। শহরের বাইরে পাঁচটি আবাসিক হোটেলে ৫৯ জন, কিছু বাসা-বাড়িতে ৩১৮ জন এবং ভ্রাম্যমাণ ৩৯৯ জন নারী জড়িত। তাদের মধ্যে এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে ডিআইসি।
সভায় বক্তারা বলেন, এইচআইভি ভাইরাস পজিটিভ কারো শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে এবং জন্মগতভাবে ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে। তবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কিছু কাজ করলে এইচআইভি প্রতিরোধ করা যায়।
সভা সঞ্চালনা করেন ডিআইসি টাঙ্গাইলের কো-অর্ডিনেটর রিবাদ কিরন আকন্দ। ফোকাল পার্সন ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মালেক আদনান, জেলা কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক রিয়ান রাজা এবং রেজওয়ান শরিফ। এছাড়া ডিআইসি টাঙ্গাইল’র ফিল্ড সুপারভাইজার পারভীন আক্তার ডলি ও সাংবাদিক প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
সূত্রে. সময় নিউজ

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
