নির্যাতনের ভয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে চায় না শিশু সাথী


আশাশুনির চাপড়া গ্রামের ৭ম শ্রেণি পড়–য়া এক শিশুকে অভিভাবকরা জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেওয়ার পর শ^শুর বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে নিজেকে রক্ষা করতে পালিয়ে শিশুটি ফুফুর বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেও শিশুটির শ^শুরকুলের লোকজন মারপিট করে জোরপূর্বক বাড়ি নেয়ার চেষ্টায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর চাপড়া গ্রামের জনৈক সোহরাবের কন্যা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী মায়ের সাথে পাইকগাছার ফতেপুর গুচ্ছগ্রামে বসবাস করে। সে ফতেপুর মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা পাপিয়া, নানী শাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান গাইনের স্ত্রী শিউলি, খালু চাঁদখালী গ্রামের মোবাশে^র ও খালা রহিমা মিলে ২ মাস আগে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের রুস্তম মোড়লের পুত্র মিলনের সাথে বিয়ে দেয়। এরপর শ^শুর বাড়িতে যাওয়ার পর শিশু সাথীর উপর শ^শুর বাড়ির লোক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন ও বাল্যবিয়ের অভিশাপ সইতে না পেরে নিজেকে রক্ষা করতে সাথী ১৩ দিন আগে সেখান থেকে পালিয়ে দাদা মোক্তার সরদারের বাড়িতে এসে ওঠে। মোক্তার সরদার নিজের কাছে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে সাথীকে তার ফুফু সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে মঞ্জুয়ারার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মঞ্জুয়ারা বাড়ি না থাকাকালীন ৭ অক্টোবর সাথীর শ^শুর ও শাশুড়ি চাঁদপুর গিয়ে বউমাকে নিয়ে যেতে চায়। সাথী অস্বীকার করলে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে মজা দেখানোর হুমকী দিয়ে চলে যায়। ফুফু মঞ্জুয়ারা ও সাথী ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইলে তিনি থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আ. ব. ম মোছাদ্দেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাল্যবিবাহ অপরাধ, তার উপর অত্যাচার নির্যাতনও অপরাধ। ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
সূত্রে. পত্রদূত।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
