মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙ্গল-জোয়ার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাল চাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়।

এক সময় জেলা ও উপজেলায় কৃষক গরু ও মহিষ লালন-পালন করতো হাল চাষ করার জন্য। আবার অনেকে গবাদি পশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আবার অনেকে ধান, গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা, কলাই চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। ধান, নদী, খাল এই তি’নে নড়াইল।
জেলায় কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতার সোনালী অতীত ও ঐতিহ্য। ঠিক তেমনি জেলার জনপদের খাদ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন শুধুই স্মৃতি। এক সময় দেখা যেত সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হাল চাষ করার জন্য।

নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতো। হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেতো তাদের পরিবারের সচ্ছলতা। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর চোখে পড়ে না সে দৃশ্য। জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ। তাই কৃষকরা এখন পেশা বদলি করে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।

ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল দিয়ে জমিতে হাল চাষ। বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই আর সকালে কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর তেমন দেখা যায় না কৃষকদের।
পড়া লেখা না করায় ছোটবেলা থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম। বাড়িতে হাল চাষের জন্য বলদ গরু ছিল এক জোড়া। আর মহিশ ছিলো এক জোড়া। চাষের জন্য দরকার হতো একজোড়া বলদ, কাঠের তৈরি লাঙ্গল, বাঁশের তৈরি জোয়াল, মই, লরি ও গরুর মুখে টোনা ইত্যাদি। আগে গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো। অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে পড়তো। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার তৈরি হতো। ক্ষেতে ফলন ভালো হতো। এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে। সেই মেশিন দিয়ে এখানকার লোকজন জমি চাষাবাদ করে। তাই এখনো গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল নিয়ে জমিতে হাল চাষ করা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

কৃষক মোঃ হাবিব বলেন, বহুবছর থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম লাঙ্গল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জমি চাষ করতাম কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ। তবে ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার থেকে গরুর লাঙ্গলের চাষ গভীর হয়। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদ করতে সার, কীটনাশক কম লাগতো। দিনে দিনে এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এখন তোর আর সেই গরুর গাড়ি শুধুই স্মৃতি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় চোরাচালানের নতুন কৌশল: খৈলের নিচে ৭ কোটি টাকার ভারতীয় পোশাক ও মাদক

ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রতিটি ট্রাক যেন এখন শুধু পণ্য নয়-বিস্তারিত পড়ুন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেসব জাতীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন

বহুল আলোচিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। শুক্রবার ১৭ অক্টোবরবিস্তারিত পড়ুন

রাতের মধ্যে দাবি না মানলে মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়

বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ICTবিস্তারিত পড়ুন

  • দেশপ্রেমী মানুষ তৈরির কারখানা ছাত্রশিবির- সাতক্ষীরায় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম
  • সাতক্ষীরার দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা
  • ১৮৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, হাজারও শ্রমিক বেকার
  • গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব হয়েই নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন এহছানুল
  • নির্বাচনে বিশৃঙ্খলাকারীকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • হাসিনার মামলা সরাসরি সম্প্রচারকালে ফেসবুক পেইজে সাইবার হামলা
  • শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান
  • মেহেরপুরের ক্যাসিনো সম্রাট মোরশেদুল আলম লিপু সাতক্ষীরায় আটক
  • আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাই: ধর্ম উপদেষ্টা
  • আমার বিছানায় বসে প্রেম: ত্বহার স্ত্রী