বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙ্গল-জোয়ার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাল চাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়।

এক সময় জেলা ও উপজেলায় কৃষক গরু ও মহিষ লালন-পালন করতো হাল চাষ করার জন্য। আবার অনেকে গবাদি পশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আবার অনেকে ধান, গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা, কলাই চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। ধান, নদী, খাল এই তি’নে নড়াইল।
জেলায় কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতার সোনালী অতীত ও ঐতিহ্য। ঠিক তেমনি জেলার জনপদের খাদ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন শুধুই স্মৃতি। এক সময় দেখা যেত সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হাল চাষ করার জন্য।

নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতো। হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেতো তাদের পরিবারের সচ্ছলতা। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর চোখে পড়ে না সে দৃশ্য। জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ। তাই কৃষকরা এখন পেশা বদলি করে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।

ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল দিয়ে জমিতে হাল চাষ। বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই আর সকালে কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর তেমন দেখা যায় না কৃষকদের।
পড়া লেখা না করায় ছোটবেলা থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম। বাড়িতে হাল চাষের জন্য বলদ গরু ছিল এক জোড়া। আর মহিশ ছিলো এক জোড়া। চাষের জন্য দরকার হতো একজোড়া বলদ, কাঠের তৈরি লাঙ্গল, বাঁশের তৈরি জোয়াল, মই, লরি ও গরুর মুখে টোনা ইত্যাদি। আগে গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো। অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে পড়তো। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার তৈরি হতো। ক্ষেতে ফলন ভালো হতো। এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে। সেই মেশিন দিয়ে এখানকার লোকজন জমি চাষাবাদ করে। তাই এখনো গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল নিয়ে জমিতে হাল চাষ করা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

কৃষক মোঃ হাবিব বলেন, বহুবছর থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম লাঙ্গল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জমি চাষ করতাম কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ। তবে ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার থেকে গরুর লাঙ্গলের চাষ গভীর হয়। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদ করতে সার, কীটনাশক কম লাগতো। দিনে দিনে এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এখন তোর আর সেই গরুর গাড়ি শুধুই স্মৃতি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার ফিংড়ীতে জামায়াতের যুব বিভাগের ইউনিয়ন ক্লাস অনুষ্ঠিত

আল মুজাহিদ, ফিংড়ী: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৪নং ফিংড়ী ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগেবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি: টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ICT কোচিংবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ঘেরের আইলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাছের ঘেরের চারপাশে ঝুলছে লাউ, করলা, শিম আর উচ্ছে। ঘেরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ
  • ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ
  • সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক